প্রার্থী হলেন লতিফ-মুরাদ, সঙ্গে ছিলেন কাদের সিদ্দিকী

অপরদিকে কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।

টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও তার ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও শাহাদাত হুসেইনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, লতিফ সিদ্দিকীর সহধর্মিণী সাবেক সংসদ সদস্য লায়লা সিদ্দিকী, সরকারি সাদত কলেজের সাবেক ভিপি আজাদ সিদ্দিকী।

লতিফ সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর পরই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে প্রবেশ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী। তিনি মোট ভোটারের ১ শতাংশ স্বাক্ষর জমা দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র বাবুল সিদ্দিকী, নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রানা সিদ্দিকী, বল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান আসলাম, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মনি আরজু।

লতিফ সিদ্দিকী কালিহাতী আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) এবং টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে তিনি দুটি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

দুই ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমাদানের বিষয়টি কালিহাতীসহ পুরো টাঙ্গাইলে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে।

টাঙ্গাইল-৪ আসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার ওরফে ঠান্ডুকে নৌকার মাঝি করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের আলোচিত ‘সিদ্দিকী পরিবারের’ পৈত্রিক নিবাস কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের ছাতিহাটী গ্রামে।

কয়েক বছর আগে হজ নিয়ে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর পদ হারান লতিফ। পরে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়েন এবং সব শেষে দল থেকে বহিষ্কার হন তিনি।

টাঙ্গাইল-৪ আসনে চারবারের সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকী ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকারে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে পাঁচ বছর তা পালন করেন।

২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ ফের সরকার গঠন করলে তিনি দুই মন্ত্রণালয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দায়িত্ব পান। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই বিদায় নিতে হয় তাকে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও মাঝপথে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান লতিফ সিদ্দিকী।

অপরদিকে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।