বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন বাড়াতে ১ জুন থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত জেলে, বাওয়ালী, মৌয়াল ও পর্যটকদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
Published : 01 Sep 2022, 06:47 PM
সুন্দরবনে প্রবেশে টানা তিনমাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সুন্দরবন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাইরেঞ্জের পশুর নদের তীরে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে ভিড় করতে থাকে দেশ বিদেশের বিভিন্ন বয়সী ভ্রমণ পিপাসুরা।
পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দরবনে ভ্রমণে আসতে পেরে খুশি পর্যটকরা। পর্যটকদের জন্য সুন্দরবনে ঘোরার জন্য এখন উপযুক্ত মৌসুম না হলেও ভিড় অনেক বেশি বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন বাড়াতে ১ জুন থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস জেলে, বাওয়ালী, মৌয়াল ও পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন অধিদপ্তর।
কুমিল্লা থেকে ঘুরতে আসা অদিতি রহমান ও অহনা ইসলাম বলেন, অনেকদিন ধরে সুন্দরবনে আসার ইচ্ছা ছিল, বন্ধ থাকায় আসতে পারেননি। সুন্দরবনের কথা বইয়ে পড়েছেন। এবার এসে তা নিজ চোখে দেখে ভালো লাগছে।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, টানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে সুন্দরবনের করমজলসহসব স্পটগুলো পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বনের উপর নির্ভরশীল জেলে ও বাওয়ালীদের জন্যও (পাশপারমিট) অনুমতি দেওয়া শুরু হয়েছে। সকাল থেকে এখানে পর্যটকরা ভিড় করছেন।
“এখন বর্ষা মৌসুম; এখন এত পর্যটক আসার কথা নয়। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পর্যটকদের সুন্দরবন দেখার আগ্রহ বেড়েছে। এখানে যারা আসছেন তাদের আমরা সহযোগিতা করছি।”
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর সময় সুন্দরবন বন্ধ ছিল। ১ সেপ্টেম্বর সুন্দরবন খুলে দেওয়ার পর প্রথম দিনেই পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। তাদের বন দেখার সুবিধার্থে সাতটি নতুন ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। পর্যটকরা এক জায়গায় জড়ো না হয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ভালভাবে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।