আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় পুলিশ।
Published : 14 May 2024, 12:15 AM
গাজীপুরের টঙ্গীতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআইয়ের সদস্য পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব জানান উপ পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নীলফামারীর রণচণ্ডি উত্তরপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. লিয়ন ইসলাম (২৫), লিয়নের স্ত্রী একই এলাকার রিয়াজুল ইসলামের মেয়ে রাজিয়া সুলতানা (২২), রাজিয়ার দুই বোন রিপা আক্তার (২১) ও রিখা মনি (১৭), একই জেলার রণচণ্ডি দালালপাড়া এলাকার এবাইদুল হকের ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে পায়েল (২৩) এবং লালমনিরহাটের দই খাওয়া এলাকার মৃত আনসার আলীর ছেলে হুমায়ুন কবির প্রিন্স (৩৬)।
পুলিশ তাদের হেফাজত থেকে প্রতারণার শিকার দুই কিশোরীকে উদ্ধার এবং ইলেকট্রিক শক মেশিন, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট ডিভাইস, নিয়োগপত্র, ল্যাপটপ ও প্রশিক্ষণ মডিউল বইসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
এ ছাড়া তাদের কাছে ভুয়া নিয়োগপত্র, আইডি কার্ড পাওয়া গেছে।
উপ পুলিশ কমিশনার নাজির আহমেদ খান আরও জানান, গোপন খবরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার ভাদাম পশ্চিমপাড়ার শহীদ মিয়ার ৫তলা ভবনের ফ্ল্যাটে সোমবার ভোরে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআই সদস্যরা।
এ সময় সেখান থেকে ওই ছয়জনকে আটক করা হয়।
আটকদের কাছ থেকে প্রতারণার শিকার দুই কিশোরীকে উদ্ধার এবং বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় পুলিশ।
নাজির আহমেদ খান জানান, আটকরা প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা এনএসআই সদস্য পরিচয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫ হতে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। তারা ফেইসবুক আইডি ব্যবহারের মাধ্যমে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে টঙ্গীতে এনে ভুয়া নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড প্রদান করে বিভিন্ন জেলার থানায় পদায়নের চিঠি দিত বলে পুলিশ জানায়।
পরে চাকরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলে কৌশলে টঙ্গীর ওই বাড়িতে এনে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হত। বদলি ও পদোন্নতি দেওয়ার কথা বলে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা ঠিকানা পরিবর্তন করে গা ঢাকা দিত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের আটকরা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানায়।