৩ মাস ২০ দিন আগে মসজিদের আটটি দানবাক্স থেকে রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
Published : 09 Dec 2023, 10:04 AM
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ আগে আটটি দানবাক্স থাকলেও এবার একটি বাড়ানো হয়েছিল। সেই নয়টি বাক্স থেকে মিলেছে ২৩ বস্তা টাকা।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতে মসজিদের এই দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
তাতে দেখা যায় প্রতিবারের মত এবারও টাকার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়নাও দান করেছেন মানুষ। এখন চলছে সেসব গণনার কাজ।
জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আটটি দানবাক্স থাকলেও এবার আরও একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বাড়ায় এখন পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সংখ্যা ৯টি। এবার ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, এখন চলছে গণনার কাজ। এতে প্রায় ২০০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছে।
টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ.টি.এম ফরহাদ চৌধুরী, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য অংশ নিয়েছেন।
৩ মাস ২০ দিন আগে গত ১৯ অগাস্ট এই মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তা টাকা থেকে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।