সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় ৪ ফেব্রুয়ারি ইউপিডিএফের দুই সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
Published : 11 Feb 2024, 09:34 PM
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ের আঞ্চলিক দুই সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির সময় এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে।
রোববার দুপুরে উপজেলার দুর্গম পাহাড়ের শিয়ালদহলুই মৌজায় ইউপিডিএফ (প্রসীত খিসা) এবং জেএসএস (সন্তু লারমা) সদস্যদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা জানান।
আহত শিশুটির নাম রোমিও ত্রিপুরা (৭)। সে শিয়ালদহলুই মৌজার প্রবেন ত্রিপুরার ছেলে।
এক সপ্তাহ আগে ৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় ইউপিডিএফের সদস্য দীপায়ন চাকমা ও আশিষ চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসকে দায়ী করলেও তারা তা অস্বীকার করেছে।
এর মধ্যে আবার একই এলাকায় দুই সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।
সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, “দুপুরে গন্ডাছড়া-মালেংপাড়া এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়। সেখানে চারটি পরিবার রয়েছে। গোলাগুলির মধ্যে রোমিও ত্রিপুরা বাড়ির বাইরে বের হলে তার পেটে গুলি লাগে।
সাজেকে চায়ের দোকানে গুলি করে ইউপিডিএফের দুজনকে হত্যা
“এলাকাটি অতি দুর্গম হওয়ার কারণে আমরা খবর পাই দেরিতে। আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আনতে সময় লাগছে। কারণ, এলাকাটি সাজেকের রুইলুই পর্যটন কেন্দ্রের কংলাক পাহাড় থেকে আরও ১৫-১৬ কিলোমিটার ভেতরে। ওখানে গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহন যাওয়ার ব্যবস্থা নেই।”
সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, “গ্রামবাসী আহত ছেলেটিকে নিয়ে হেঁটে কংলাক পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন দুপুরে। কংলাক পাহাড়ে তাদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষা করছে। তারা পৌঁছালে ছেলেটিকে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে আনা হবে। আমি এখনো মাচালং বাজারে তাদের জন্য অপেক্ষা করছি।”
শিয়ালদাহলুই এলাকার ইউপি সদস্য জোপ্পু ইথাং ত্রিপুরা বলেন, “বিকালের দিকে থেমে থেমে ২৫০-৩০০টি গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে ঘরে যাওয়ার সময় রোমিও ত্রিপুরা গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
“স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিজিবির শিয়ালদাহলুই বিওপিতে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাজেকের দিকে পাঠানো হয়েছে।”
বাঘাইছড়ি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আউয়াল বলেন, “সাজেকে গোলাগুলির ঘটনায় এক শিশু আহত হওয়ার সংবাদ আমরা পেয়েছি। তবে এলাকাটি অতি দুর্গম হওয়ায় শিশুটিকে আনতে সময় লাগছে। আহত শিশুটির চিকিৎসার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”