এ ঘটনার জন্য জেএসএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও সংগঠনটি তা অস্বীকার করেছে।
Published : 04 Feb 2024, 03:38 PM
রাঙামাটির পর্যটনস্থল সাজেকে চায়ের দোকানে ব্রাশফায়ার করে ইউপিডিএফের দুই কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার দুপুর ১২টায় সাজেকের মাচালং এলাকার ব্রিজপাড়ায় একটি চায়ের দোকানে এ গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানান।
নিহতরা হলেন- বাঘাইছড়ির রূপকারি ইউনিয়নের বাসিন্দা আশীষ চাকমা আশুক্য (৪৫) এবং সাজেক ইউনিয়নের বাসিন্দা দীপায়ন চাকমা (৩৮)।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ওই চায়ের দোকানে বসে প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের কয়েকজন কথা বলছিলেন। এ সময় একদল সশস্ত্র যুবক দোকান লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ার করতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই আশীষ ও দীপায়ন মারা যান।
ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে হত্যা-খুন-গুমের রাজনীতির মধ্য দিয়ে যারা পাহাড়ের মুক্তিকামী মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে গলাটিপে হত্যা করতে চায় তারাই এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে।”
ইউপিডিএফের বাঘাইছড়ি উপজেলার সংগঠক আর্জেন্ট চাকমা এ ঘটনার জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএসকে দায়ী করেছেন।
তবে জেএসএসের (সন্তু লারমা) বাঘাইছড়ি উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জেএসএস নেতা বলেন, “সাজেক ও মাচালং এলাকায় আমাদের কোনো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নেই, এটা সবাই জানে। এই ঘটনায় আমাদের অভিযুক্ত করাটা অনুচিত। এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”
পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, যারা নিহত হয়েছেন তারা ইউপিডিএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আর হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও সুস্পষ্টভাবে না জানলেও তারাও পাহাড়ের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলেই জেনেছি।
“পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত হবে। পরে মামলা হবে।”