সংসদ নির্বাচন: গাজীপুরে ব্যানার-ফেস্টুন উচ্ছেদে অভিযান শুরু

২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১১ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনুমোদন বিহীন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণে অভিযান শুরু করেছেন গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি, টঙ্গি, সালনাসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “সোমবার থেকে আমাদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে গাজীপুর শহর ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।

“মঙ্গলবার সকাল থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তত্ত্বাবধানে গাজীপুর সিটি ছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় আরও ব্যাপকভাবে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।”

উচ্ছেদ অভিযানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ও আনসার সদস্যরা সহায়তা করেছেন বলেও জানান তিনি।

গাজীপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এ ধরনের অভিযানসহ নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১১ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে। এছাড়া দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থাকবেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বেশ কিছুদিন ধরেই প্রচার চালিয়ে আসছিলেন। এ অবস্থায় জেলার বিভিন্ন স্থানে সম্ভাব্য প্রার্থীগণের বিভিন্ন শুভেচ্ছা বার্তাসহ নির্বাচনী প্রচারের পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়।

“এসব ব্যানার-পোস্টার লাগানো আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। তাই সেগুলো অপসারণে অভিযান শুরু হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা দিতে হবে। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন। এর আগে নির্বাচনী প্রচার নিষিদ্ধ।