বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের পরও ভোট নেওয়া হয়েছে।
Published : 12 Jun 2023, 06:55 PM
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪২ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বলেন, “ভোট শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে, কোথাও ভোট বাতিল বা কোনো কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়নি।”
এর আগে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ ভোট পড়ার খবর জানিয়েছিলেন তিনি।
এ ছাড়া প্রথম সাত ঘণ্টায় প্রায় ৪০ শতাংশের মত ভোট পড়েছে বলে ধারণার কথা জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান তালুকদার।
সকাল ৮টায় খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি থাকায় সেখানে ৪টার পরও ভোট নেওয়া হয়েছে।
ভোটগ্রহণ হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ ছিল ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে বসে ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকও।
নিজের ভোট দিয়ে বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জনগণ যে রায় দেবে আমি তা মেনে নেব।
তবে ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে অনেক সময় লেগেছে বলে অভিযোগ করেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুল ইসলাম মধু।
এতে ভোট কারচুপি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল অভিযোগ করে বলেন, “ইভিএমে হাতপাখায় চাপ দিলে ভোট নৌকায় চলে যাচ্ছে।”
সোমবার সকালে পশ্চিম বানিয়াখামার দারুল কোরআন বহুমুখী মাদ্রাসায় ভোট দিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
নির্বাচনে সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন, ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এরমধ্যে নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা সিটির ৩১টি ওয়ার্ডের আওতায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২৮৯টি। মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
আরো পড়ুন:
ভোট শেষে ফলের অপেক্ষায় খুলনা ও বরিশাল