মেহেরপুরের গাংনীতে বোমার বিস্ফোরণে জড়িত অভিযোগে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১১ নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় এক যুবদল নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিদুজ্জামান শিপু বাদী হয়ে মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সোমবার রাতে গাংনী শহরের ত্রিমোনী মোড়ের মৎস্য খামারের মধ্যে দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে আরও তিনটি বোমা উদ্ধার করে।
ওই ঘটনার পর রাতেই ছাত্রলীগ বিএনপিকে দায়ী করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বলে ওসি জানান।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় সাহিদুজ্জামান শিপু বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিম্ফোরক দ্রব্য আইনে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, তার ভাই জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাজমুল হক, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল মালেক চপল বিশ্বাস, পৌর যুবদলের সভাপতি সাহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক বিপ্লব হোসেন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ডাকু, গাংনী বানিয়াপুকুর গ্রামের বিএনপিকর্মী কামরুল ইসলাম, গাংনী চৌগাছা গ্রামের ছাত্রদল কর্মী ইমন আহমেদ, যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মনি, থানা পাড়ার কাজল আলী ও মহিলা কলেজ পাড়ার সুমন ওরফে এ্যাডাম।
এ মামলার আসামি গাংনী উপজেলা যুবদলের সভাপতি সাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ওসি জানান।
জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার ক্ষমতা আকড়ে ধরার চেষ্টা করছে।
তিনি ঘটনাটি এবং মামলাটি সাজানো বলে অভিযোগ করেন; এবং অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।