২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল সেলিনাকে প্রচন্ড মারধর করা হয়; পরদিন তিনি হাসপাতালে মারা যান।
Published : 11 Oct 2023, 09:21 PM
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী আইনজীবী (এপিপি) খোরশেদ আলম শাওন জানান।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাসুদ আলম ঢালী উপজেলার মিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বরাতে আইনজীবী বলেন, ১৯৯৮ সালে উপজেলার কড়ইতলী গ্রামের মৃত হাজী আবুল হাশেম খানের মেয়ে সেলিনা বেগমকে বিয়ে করেন মাসুদ। তাদের দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। যৌতুকের কারণে ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল সেলিনাকে প্রচন্ড মারধর করেন মাসুদ। এর একপর্যায়ে সেলিনা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এরপর মাসুদ স্ত্রীকে আবার মারধর করেন।
স্বজনরা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সেলিনা মারা যান।
এ ঘটনায় সেলিনার মা আয়েশা বেগম ২০০৮ সালের ৫ জুলাই ফরিদগঞ্জ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। ৭ জুলাই চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল গ্রহণ করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুভাষ কান্তি দাস ২০০৮ সালের ৭ অগাস্ট আদালতে মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষ্য দেন।
আইনজীবী বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তিনি জামিন নিয়ে পালিয়ে যান। আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মনিরা বেগম চৌধুরী।