ইউপি উপনির্বাচন: মাদারীপুরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৭

ভোট চাইতে গেলে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়ায় বলে জানায় পুলিশ।

মাদারীপুরের শিবচরে ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংর্ঘষে আহত একজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মাদারীপুরের শিবচরে ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষে ৭ জন আহত হয়েছেন। এতে এক প্রার্থীর কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন শিবচর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, কাদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহআলম তালুকদার চানমিয়া তার সমর্থকদের নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে যান।

“এ সময় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আজাদুল ইসলাম মাসুম বেপারির সমর্থকরা তাদের বাধা দেন। এতে উভয়পক্ষ সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়লে আহত হন সাতজন।

“খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”

আহত তুষার মাদবর বলেন, “ওই এলাকায় ভোট চাইতে গেলে আজাদুলের সমর্থকরা আমাদের বাধা দেয় ও হামলা চালায়। এতে আমার বাবা গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”

অপর পক্ষের আহত এসকান বেপারি বলেন, “শাহআলমের লোকজন হঠাৎ মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এসে আমাদের উপর হামলা চালায়।”

আজাদুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচনী আচরণ বিধি অমান্য করে শাহআলম ভোট চাইতে গেলে ঝামেলা শুরু হয়। সোনাই চান্দেরহাটে আমার ক্যাম্পও ভাংচুর করেছে তারা। পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।”

পাল্টা অভিযোগ তুলে শাহআলম বলেন, “কয়েকটি এলাকায় আজাদুল ইসলামের লোকজন পাহারা বসিয়েছেন। ভোট চাইতে গেলেই তারা বাধা দিচ্ছেন। এরই জের ধরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে।”

শিবচর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ফের সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।