শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৫ হাজার ৮৪টি পরিবহন পারাপার হয়েছে।
Published : 07 Apr 2024, 05:29 PM
ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট নেই। এখনও পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলের মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার সকাল থেকে মহাসড়কের ঘারিন্দা, রাবনা, রসুলপুর, এলেঙ্গা, সলা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ের টোল প্লাজা ঘুরে কোনো যানজট দেখা যায়নি। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে মহাসড়কের গাড়ির চাপ বেড়েছে।
সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
জেলা প্রশাসন বলছে, এ বছরের ঈদযাত্রায় গাজীপুরের ভোগড়া থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেনের সুবিধা পাচ্ছে ঘরমুখো মানুষ। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো চারলেনের সড়ক দিয়ে দ্রুত কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত চলে আসতে পারছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহনগুলোর জন্য, সেতু পার হওয়ার পর ভূঞাপুর হয়ে বিকল্প রাস্তায় এলেঙ্গা পর্যন্ত চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৫ হাজার ৮৪টি পরিবহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে বাস রয়েছে ৬ হাজার ৬৭টি, ট্রাক ৮ হাজার ৫৮১টি, মিনি ট্রাক ও প্রাইভেটকার মিলিয়ে ৮ হাজার ৪২২টি এবং মোটরসাইকেল ২ হাজার ১৪টি।
এসব পরিবহনের বিপরীতে সেতুতে ২ কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ওসি আলমগীর আশরাফ বলেন, সকাল থেকেই মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে গাড়ির চাপ বাড়তে পারে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার সমন্বিত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
“ঈদের আগে ও পরে তিনদিন করে মহাসড়কের আমরা কোন ট্রাক চলাচল করতে দিচ্ছি না। মহাসড়কে কোন থ্রি হুইলার উঠতে দিচ্ছি না।“
মহাসড়কে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে, সেই যানবাহনগুলো অপসারণের জন্য রেকার তৈরি রাখা হয়েছে বলেও জানান কায়ছারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন টোল প্লাজা চালু রাখার জন্য জনবলসহ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে; মানুষ স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পারবে।