নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযান চালিয়ে শনিবার তাকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান চরজব্বর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার মো. মিন্টু ওরফে হেলাল সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্য ব্যাগ্যা গ্রামের বাসিন্দা।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, “মিন্টু স্থান পরিবর্তন করে ও ছদ্মনামে ৫ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোটের রাতে মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে চার সন্তানের জননী চল্লিশোর্ধ্ব নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরদিন ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে নয় জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
২০১৯ সালের ২৭ মার্চ এ মামলায় সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস এ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা করা হয়।
আসামিদের মধ্যে একমাত্র মিন্টু পলাতক ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন