উদ্ধার করা এসব খাদ্যপণ্যের আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ টাকার বেশি বলে জানিয়েছে র্যাব।
Published : 24 Feb 2024, 02:34 PM
কক্সবাজার থেকে মিয়ানমারে পাচারের জন্য মজুদ করা ভোজ্যতেল, আটা, চিনি ও রসুনসহ তিন ‘পাচারকারী’কে আটক করেছে র্যাব।
শুক্রবার মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের মাঝেরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করা হয় বলে শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
আটকরা হলেন- কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম এলাকার মৃত হাসন আলীর ছেলে আবু তাহের (৫০) এবং টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৃত মো. শরীফের ছেলে মো. তৈয়ব (২৪) এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাহারঘোনা এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে কবির আহমদ (৫৩)।
লে. কর্নেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কতিপয় লোকজন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে থাকা মিয়ানমারে পাচারের জন্য বেশ কিছু পরিমাণ খাদ্যপণ্য মজুদ করার খবরে শুক্রবার মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের মাঝেরঘাট এলাকায় খুরুশকূল ব্রিজের দক্ষিণ পাশে অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্দেহজনক ৪-৫ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে তিন জনকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব।
“এ সময় আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, মিয়ানমারে পাচারের জন্য তারা বেশ কিছু পরিমাণ খাদ্যপণ্য মজুদ করেছেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে, স্থানীয় একটি বাসা থেকে ২ হাজার ১২০ লিটার সয়াবিন তেল, ১৭টি বস্তায় ৮৫০ কেজি আটা, ১৫টি বস্তায় ৭৫০ কেজি চিনি, ১২টি বস্তায় ৪৮০ কেজি রসুন উদ্ধার করা হয়েছে।”
উদ্ধার করা এসব খাদ্যপণ্যের আনুমানিক মূল্য ছয় লাখ টাকার বেশি বলে জানিয়েছে র্যাব।
আটকদের দেওয়া তথ্যের বরাতে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বেশ কিছু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় রাজ্যটিতে খাদ্য সংকট দেখাও দিয়েছে।
“এতে সীমান্তের যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও পাচারকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর চক্রটির সদস্যরা কক্সবাজার উপকূলবর্তী সাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে খাদ্যপণ্য মিয়ানমারে পাচার করে আসছিল।”
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ।