বালাম বইতে লাল কালির মাধ্যমে মূল দলিলের উপরের অংশ ঘষামাজা করা হয়েছে।
Published : 28 Mar 2024, 10:26 AM
দলিল ঘষামাজার অভিযোগে মাদারীপুর সদর উপজেলার সাব-রেজিস্টারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
মামলাটি আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের (সদর) বিচারক অভিজিত চৌধুরী পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে বাদী পক্ষের আইনজীবী জামিনুর হোসেন মিঠু জানান, মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকার লিটন মোল্লার স্ত্রী নাজমিন আক্তার মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার নথির সূত্রে এই আইনজীবী জানান, ২০১১ সালের ১৫ মার্চ সুলতান মোল্লা নামে এক ব্যক্তি ১৪৪৪/২০১১ নং দলিল মূলে লিটন মোল্লা ও দুলাল মোল্লা বরাবরে চৌহদ্দি দিয়ে একটি দলিল রেজিস্ট্রি করেন।
এই দলিলের তৃতীয় পৃষ্ঠার ২১ নম্বর লাইন শেষের আগে ঘষামাজা করে নুতনভাবে কম্পোজ করা হয়েছে এবং বালাম বইতে লাল কালির মাধ্যমে মূল দলিলের উপরের অংশ ঘষামাজা করা হয়েছে।
এই ঘটনার সঙ্গে মাদারীপুর সদর উপজেলা সাব-রেজিস্টার মিজানুর রহমান, নকলনবিশ দিদার হোসেন ও নিনা আক্তার, দলিল লেখক দিদার হোসেন, সাব রেজিস্টার অফিসের রেকর্ড কিপার বিশ্বদেব দাস ও অফিস সহকারী আলি মিয়া এবং মহিষেরচর এলাকার দুলাল মোল্লা জড়িত বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আইনজীবী মিঠু বলেন, “আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে দলিল টেম্পারিং করেছেন যা গুরুতর অপরাধ। তাই আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশা করি আমার বাদী ন্যায়বিচার পাবেন। ”
এদিকে মামলা পর তা তুলে নিতে সাব-রেজিস্টার বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদীর স্বামী লিটন মোল্লা।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সাব-রেজিস্টার মিজানুর রহমান বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যা। আদালতের মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমেই জবাব দেওয়া হবে।”
মাদারীপুর জেলা রেজিস্টার মুনিরুল হাসান বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরা নিজেরাই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে সাজা হবে। এ ছাড়াও মামলায় আদালত যে রায় দেবে সেটা তো মেনে নিতে হবেই।”
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]