Published : 03 Nov 2022, 11:49 AM
বরিশাল থেকে ভোলা রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল নদীবন্দর ও ডিসি ঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ও স্পিডবোট ভোলায় যায়নি। ভোলা থেকেও কোনো নৌযান বরিশালে আসেনি।
এ বিষয়ে লঞ্চ মালিকদের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।
বিআইডব্লিউটি’এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বরিশাল-ভোলা রুটে চলাচলকারী ১৪টি লঞ্চই বন্ধ রয়েছে। তবে কি কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে, তা বলতে পারছি না।”
তিনি আরও জানান, বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ভোলাসহ ১১টি অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল করে। ভোলা ছাড়া অন্য রুটে লঞ্চ চলছে।
বরিশাল স্পিডবোট ঘাটের লাইন ইনচার্জ তারেক শাহ বলেন, বরিশাল থেকে স্পিডবোট চলাচলে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। বুধবার রাতে ভোলা থেকে বোট বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়। এ কারণে তারাও বন্ধ রেখেছেন।
বরিশাল নগরীর ডিসিঘাট থেকে ভোলার ভেদুরিয়া রুটে ১০০টি স্পিডবোট চলাচল করে। আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
ভোলার ভেদুরিয়া স্পিডবোট ঘাটের লাইন ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু বলেন, প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বোট চলাচল করে। বুধবার সন্ধ্যার পর বোট চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষার্থী, রোগী ও প্রশাসনের লোকজন নিয়ে ৭/৮ টি বোট ঘাট ছাড়লেও সাধারণ যাত্রীদের তোলা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির বলেন, “সমাবেশে লোকজন আসা ঠেকাতে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বে। কোনভাবেই সমাবেশে মানুষ আসা ঠেকাতে পারবে না। নেতাকর্মীরা সাঁতরে এসে হলেও সমাবেশে যোগ দেবে।”
বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলসিক জাহান শিরিন বলেন, “কোন কিছুতেই বরিশালের গণসমাবেশের জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। প্রয়োজনে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ হেঁটে, সাইকেলে, ট্রলার ও নৌকায় চেপে আসবে।”
স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ভোলার ভেদুরিয়া ঘাটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী ঘাটে এসে আবার ফিরে গেছেন। ঘাট এলাকা একদম ফাঁকা।
ভোলা স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি মোসলে উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, “বিএনপি কর্মীরা লাঠি-সোটা নিয়ে ভোলা থেকে বরিশালে যাচ্ছেন। তাদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতা হতে পারে। তাই নৌ-যানের নিরাপত্তায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
“তবে জরুরি রোগীদের আনা-নেওয়ার জন্য কিছু বোট চালু থাকবে। সবকিছু নির্ভর করছে পরিবেশ পরিস্থিতির উপর।”
এদিকে সকালে ভেদুরিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় একশ স্পিডবোট বেঁধে রাখা হয়েছে । সেখানে অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
এর আগে খুলনা ও রংপুরে বিএনপির সমাবেশের আগে বাস এবং লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।