মুক্তিপণ আদায়ের মামলা: রায় ২০ সেপ্টেম্বর, সাত পুলিশ কারাগারে

১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে চলে যাওয়ার সময় ডিবি পুলিশের সাত জনের মধ্যে ছয় জন সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2022, 02:43 PM
Updated : 5 Sept 2022, 02:43 PM

কক্সবাজারে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় ২০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার দিন রেখে গোয়েন্দা পুলিশের বহিষ্কৃত সাত সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার জেলা দায়রা ও জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

মামলার আসামিরা হলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বহিষ্কৃত এসআই মো. মনিরুজ্জামান ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই মো. ফিরোজ, গোলাম

মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং কনস্টেবল মো. আল আমিন ও মোস্তফা আজম।

মামলার নথির বরাতে ফরিদুল বলেন, গত ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার সদর থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী একদল লোক টেকনাফের ব্যবসায়ী আব্দুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর 'ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

“এক পর্যায়ে দেন-দরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় পরিবার। পরে ওই টাকা পৌঁছে দেওয়া হলে পরদিন ভোররাতে আব্দুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।”

পিপি ফরিদুল বলেন, এরপর ব্যবসায়ী গফুরের স্বজনরা বিষয়টি টেকনাফের শামলাপুরে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা চৌকির দায়িত্বরত সদস্যদের অবহিত করেন। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সেনাবাহিনীর এই নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হয়েছিল।

“মুক্তিপণ আদায়কারী ডিবি পুলিশের সদস্যরা মাইক্রোবাসযোগে মেরিন ড্রাইভ সড়কে নিরাপত্তা চৌকিতে পৌঁছালে সেনা সদস্যরা থামিয়ে তল্লাশি চালান। এতে পুলিশ সদস্যদের হেফাজত থেকে ১৭ লাখ টাকা পান।”

ওই সময় এসআই মনিরুজ্জামান দৌড়ে পালিয়ে গেলেও সেনা সদস্যরা বাকি ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

ফরিদুল বলেন, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর ২০১৮ সালের অগাস্টে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ইতোমধ্যে জামিনে থাকা ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

মামলার বাদী আব্দুল গফুর বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের

বিরুদ্ধে আদালত মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছে। ন্যায় বিচারের আশা করছেন।