Published : 24 Nov 2023, 10:27 PM
বর্জনের সিদ্ধান্ত ‘ভুল’ উল্লেখ করে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ভোটে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেন ১৯৯১ সালে এই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে একাধিকবার নেতিবাচক বক্তব্য দেওয়া এই নেতা এই ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, “তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত (ভোট বর্জন) নিয়েছেন সেটি ভুল। ...তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসাবে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।”
শুক্রবার বিকালে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার গচিহাটা কলেজ মাঠে এক মতবিনিময় সভায় আখতারুজ্জামান জানান, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।
১৯৯১ সাল থেকে পাঁচটি জাতীয় নির্বাচনে ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেন আখতারুজ্জামান। এর মধ্যে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের দুটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তিনি জয় পান। আর ২০০১ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত হন।
বিএনপিতে থেকেও দলের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে নানা বক্তব্য দিয়ে একাধিকবার দল থেকে বহিষ্কৃতও হন আখতারুজ্জামান। গত কয়েক বছর ধরে তিনি বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোতে হাজির হয়ে বিএনপির নিন্দামন্দ করে আসছিলেন, পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে আসছিলেন।
এই মত বিনিময়ে তিনি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সমালোচনা করলেও আবার তাদের নামে শ্লোগানও দেন।
আখতারুজ্জামান বলেন, “বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। দলটি কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন বয়কট করতে পারে না। সব পরিস্থিতিতে বিএনপিকে নির্বাচনে আসা উচিত।
“আজকে বিএনপির নেতৃত্বে যারা আছেন তারা দলটির গঠনতন্ত্রকে অস্বীকার করছেন। আর এ জন্যই আজকে আমাকে নির্বাচনে দাঁড়াতে হচ্ছে।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বলেন, “আগামীদিনে যদি কেউ বলেন, তারেক রহমানের ভুল ছিল, তাহলে আমি যেন বলতে পারি, কথাটি আমি আগেই বলেছিলাম। এই ভুলটি সময় থাকতেই বলেছিলাম।”
এই মত বিনিময়ে নিজেকে বিএনপির একজন নেতা হিসেবেই উপস্থাপন করেন আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, “এক দফার আন্দোলনে ‘আমরা হেরে গেছি’। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এখন জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি স্বতন্ত্র হলেও নির্বাচন করে প্রতিবাদ জানাব।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে হেরে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঞ্চ ছেড়ে চলে গেলেন। তিনিই বলেছিলেন ২৮ তারিখ ফাইনাল খেলা। খেলা হলো না। আমরা এ যুদ্ধে হেরে গেলাম। এ খেলায় হেরে গেলেন।”