“যারা লঞ্চে উঠতে পারেছে না; তাদের মাইকিং করে ফেরিতে তোলা হচ্ছে।”
Published : 09 Apr 2024, 12:19 PM
পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ফলে সড়কের পাশাপাশি চাপ বেড়েছে ঘাটগুলোতে। সে চিত্রই দেখা গেল মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে।
পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের তত্বাবধায়ক পান্না লাল নন্দী বলেন, সোমবার দুপুর থেকেই ভিড় বেড়েছে। তবে মঙ্গলবার ভোর থেকে তা আরও বাড়তে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরি আর লঞ্চে পা ফেলার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।
সকালে পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ যাত্রী লোকাল বাসে করে ঘাটে আসছেন। এরপর ফেরি ও লঞ্চে করে রওনা হচ্ছেন যার যার গন্তব্যে। তবে ফেরি পারাপারের যানবাহনের চেয়ে, লোকাল বাসের যাত্রীই বেশি।
যাত্রীচাপের কারণে লঞ্চগুলো পুরোপুরি ভরে গেলেও তাতে কারো তোয়াক্কা নেই; অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে তাতেই উঠছেন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ মহা-ব্যবস্থাপক খালেদ নেওয়াজ বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৫টি ফেরিও ২২টি লঞ্চে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। আর আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে পারাপার করা হচ্ছে ৫টি ফেরি ও ১০টি লঞ্চ দিয়ে।
তিনি বলেন, “ঘাট এলাকায় ভিড় বেশি থাকলেও এবার যানজট নেই। তবে লঞ্চগুলোতে ভিড় বেশি হচ্ছে। যারা লঞ্চে উঠতে পারেছেন না; তাদের মাইকিং করে ফেরিতে তোলা হচ্ছে।”
এদিকে ঘাট এলাকা যানজট মুক্ত রাখতে যাত্রীদের ঘাট থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে বাস থেকে নামিয়ে দিতে দেখা গেছে। ফলে যাত্রীদের ওই অংশটুকু হেঁটেই যেতে হচ্ছে।
ঘাটে কথা হয় সোহাগ নামের এক পোশাক কর্মীর সঙ্গে। তিনি বলেন, “গাজীপুরের এক পোশাক কারখানায় চাকরি করি। সকালে নবীনগর থেকে লোকাল গাড়িতে এখানে আসছি।
“গাড়িতে ভিড় পাই নাই; এখন নাইমা দেখি লোকজন উপচে পড়তাছে।”
সাভার থেকে আসা আরেক পোশাক শ্রমিক মিজান বলেন, “সাভার ও নবীনগর থেকে যাত্রীর মেলা চাপ। অনেক কষ্টে ঘাট পর্যন্ত আসছি।”
তবে ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা পদ্মা পার হচ্ছে বলে বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া কার্যালয়ের এজিএম আব্দুস সালামের দাবি।
তিনি বলেন, “যাত্রীর চাপ বেড়েছে; তাই যানবাহন ছাড়াও ফেরিতে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।”
এদিকে বিশৃঙ্খলা এড়াতে নবীনগর থেকে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট পর্যন্ত পুলিশ, র্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে।
শিবালয় থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার বলেন, “ঘাটে আসার পর যাত্রীরা যাতে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন, তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”