মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ বলেন, “তারা তাকে একটু ইয়ে করে, একটু ধাক্কাধাক্কি, মারধর না, বেশি কিছু না।”
Published : 03 Feb 2025, 05:33 PM
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে সরস্বতী পূজা দেখতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা।
সোমবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জিয়াউর রহমান জানান।
মারধরের শিকার ডা. সজল এস চক্রবর্তী সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি এমবিবিএস ৫১তম বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১ সেপ্টেম্বর মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় সজল এস চক্রবর্তীসহ আটজন সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে ক্যাম্পাসে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দুপুর ১টার দিকে ক্যাম্পাসে সরস্বতী পূজা দেখতে যান সজল। এ সময় কতিপয় শিক্ষার্থী তাকে আটকে রেখে মারধর করে। পরে তাকে কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সজলকে পূজা কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পূজা কমিটির সদস্যদের উদ্যোগে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে সজল এস চক্রবর্তীর মোবাইলে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনায় সময় ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলেন জানিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ সরস্বতী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডা. সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতা পূজা দেখতে আসছিল। তখন বর্তমানে যারা ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করে তারা তাকে ধরেছে; ধরে কী করেছে আমি তা জানি না। পরে কলেজের অধ্যক্ষ স্যার আমাকে ডেকে তাকে আমার জিম্মায় দেন। আমরা তাকে নিরাপদ জায়গাতে পৌঁছে দিয়েছি।
তিনি বলেন, “যিনি এসেছিলেন তাকে ক্যাম্পাসে আগেই অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমরা পূজা কমিটি তাকে আসার জন্য নিয়ন্ত্রণও করেনি।”
এটি তেমন বড় কোনো ঘটনা নয় দাবি করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জিয়াউর রহমান বলেন, “আমার সঙ্গে তার দেখা হয়নি। আমার রুমেও তাকে আটক করা রাখা হয়নি। আমি নামাজে ছিলাম। শুনেছি, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ক্যাম্পাসে এসেছিল।
“বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের মারধর নির্যাতনের কারণে তাকে আগেই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। তাকে ক্যাম্পাসে দেখে অতীতে যাদেরকে নির্যাতন করেছিল; তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
অধ্যক্ষ বলেন, “তারা তাকে একটু ইয়ে করে, একটু ধাক্কাধাক্কি, মারধর না, বেশি কিছু না। এরপর শিক্ষকরা সবাইকে শান্ত করেন। টিচাররা তাকে নিরাপদে নিয়ে গেছেন।”