শাবিতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে আহত রংমিস্ত্রি

দেয়ালের কার্নিশে রং করতে গিয়ে হঠাৎ বাঁশে ভেঙে পড়ে যান তিনি।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2023, 06:51 PM
Updated : 16 Jan 2023, 06:51 PM

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন দোতলা ভবন থেকে পড়ে এক রংমিস্ত্রি আহত গুরুতর হয়েছেন।

সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এই ভবন থেকে তিনি পড়ে যান বলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান।

আহত নাঈম আহমেদ (২০) সিলেটের জালালবাদ থানার ইন্নাতাবাদের মো. ওয়াতির আলির ছেলে; তিনি ওয়ার্কশপ ভবনে রংয়ের কাজ করছিলেন।

তাকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে উপাচার্য বলেন, “বিষয়টি খবুই মর্মান্তিক। সে খুবই গুরুতর আহত হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদেরকে আহত শ্রমিকের চিকিৎসার জন্য বলেছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সেখানে লোক রয়েছে।”

হাসপাতালে অবস্থানরত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ভবনের ওপর থেকে পড়ায় মুখের চোয়ালে এবং মাথায় আঘাত লেগেছে। নাক থেঁতলে গেছে। এতে অনেক ব্লিডিং হয়েছে। এখনও ব্লিডিং থামেনি। শ্বাস-প্রশ্বাস কৃত্রিমভাবে চালানো হচ্ছে; যতক্ষণ তার নিজের শ্বাস আসছে ততক্ষণ এটা করতেই হব। এছাড়া বাইরের রক্তও দেওয়া হচ্ছে।

“তবে ডাক্তার জানিয়েছেন, ওই শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”

ভবনের রংয়ের কাজে দায়িত্বরত ঠিকাদার মো. আজগর আলী জানান, তার দুই হাতও ভেঙে গেছে। এখনও জ্ঞান ফেরেনি।

ওয়ার্কশপ ভবনের নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, সকাল থেকে রং লাগানোর কাজ করছিলেন নাঈম আহমেদসহ চারজন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিক ওয়ার্কশপ ভবনের বাইরের দেয়ালের কার্নিশে রং করতে গিয়ে হঠাৎ বাঁশে ভেঙে পড়ে যান তিনি।

মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তার নাক-মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রথমে নাঈমকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে; সেখান রাগীব রাবেয়া মেডিকেলে এবং সর্বশেষ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যান।

ঘটনার বর্ণনায় নাঈমের সঙ্গে কাজ করা আরেক রংমিস্ত্রি ফজলুর রহমান বলেন, “আমি যখন কাজ করতে ভবনের চিলেকোঠায় বালতি নিয়ে উঠি; এমন সময় হঠাৎ করে একটা শব্দ শুনি। তখন নিচে তাকাই দেখি নাঈম ভবনের ওপর থেকে মাটিতে পড়ে গেছে।”

কাজ শুরু করার পর তাদের কোনো ধরনের নিরাপত্তা সামগ্রী দেওয়া হয়নি বলে তার অভিযোগ।

এ অভিযোগের বিষয়ে রংয়ের ঠিকাদার আজগর আলীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

নির্মাণ শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিষয়ে উপাচার্য বলেন, “কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্মাণ কাজের সঙ্গে দায়িত্বরতদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্মাণ শ্রমিক এবং দায়িত্বরতা অনেক সময় নিরাপত্তা কোড মানে না।”