আহত তন্ময় জানান, কাবার কবর জিয়ারতে যাওয়ার পর তার ওপর এই হামলা হয়।
Published : 30 Mar 2024, 12:23 AM
জামালপুরে কবরস্থানে হামলার শিকার হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ওয়াহিদুল করিম খান তন্ময়। এই ঘটনায় সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনটির নেতাকর্মীরা জেলা শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর জামালপুর পৌর কবরস্থানে এই ঘটনা ঘটে।
তন্ময় জানান, নামাজ শেষে তিনি পৌর কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করতে যান। ফেরার সময় কবরস্থানের গেটে অযুখানার সামনে তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে ১০ থেকে ১২ জন।
হামলার এক পর্যায়ে তিনি কবরস্থানের ভেতরে প্রবেশ করলে স্থানীয় লোকজন ও জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক নাঈম রহমান তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।
জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমীনের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে অভিযোগ করে তন্ময় জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের গ্লুকোজ ফ্যাক্টরি এলাকায় পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেনের বড় ভাই আনোয়ার হোসেনের গাড়ির সঙ্গে তার মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে প্রাইভেট কারের চালকের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।
সেই ঘটনার জেরে হামলার অভিযোগ এনে তিনি জানান, তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণাও দেন। তবে এই হামলার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন আনোয়ার হোসেন। শুক্রবার তিনি বাসা থেকে বের হননি দাবি করে তিনি বলেন, তন্ময়কে কে বা কারা মেরেছে তার জানা নেই। “গাড়ির ধাক্কার ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতেই তন্ময়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে শেষ হয়ে গেছে”, বলেন তিনি। যুবলীগের নেতা আল আমীন বলেন, “তন্ময় আমাকে জড়িয়ে যেসব বক্তব্য দিয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার ওপর হামলার ঘটনার আমি জড়িত নই।” এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে তন্ময়ের স্বজন ও সমর্থকরা। মিছিলটি স্থানীয় শহীদ হারুন সড়ক থেকে বের হয়ে তমালতলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবির সাংবাদিকদের বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”