Published : 09 Jan 2024, 06:11 PM
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় কয়েকজন সমর্থককে আটকের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও ও মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ার তিন ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন লতিফ সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার বেলা ১টায় লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কালিহাতী থানার সামনে অবস্থান শুরু করলে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকাল ৪টার দিকে সমর্থকরা সড়ক থেকে সরে গেলে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরে দুপুর আড়াইটার দিকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী সেখানে যান। তিনি লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা বলেন।
পরে থানায় প্রবেশ করেন কাদের সিদ্দিকী। এরপর আটক চারজনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ছাড়া দুইজনকে আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়।
যাদের ছাড়া হয়েছে তারা হলেন- উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হামমত আলী, পিন্টু, হৃদয় ও খোকা।
এ ছাড়া লতিফ সিদ্দিকীর সমর্থক মনির সওদাগার ও লাট মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় কাদের সিদ্দিকী জনতার উদ্দেশে বলেন, “নির্বাচন পরবর্তী উত্তেজনা কাম্য নয়। এখানে উভয় পক্ষের ভুল বোঝাবুঝি ছিল। পুলিশ চারজনকে ছেড়ে দিয়েছে ও মামলার এজাহারভুক্ত দুই জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
কালিহাতী থানার ওসি কামরুল ফারুক বলেন, “মামলার বাদীর লিখিত অভিযোগ ছিল। বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কতিপয় লোক ভাঙচুর করে। এ কারণে তিনি মামলা নেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিধি মোতাবেক আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট।
প্রায় ১০ বছর পর আবার সংসদে ফিরতে চলেছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা।
অবরোধ চলাকালে থানার সামনে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “আমার সমর্থক হাসমত আলীকে বিনা অপরাধে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিনা শর্তে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাব না।”
তখন কালিহাতী থানার ওসি মো. কামরুল ফারুক বলেছিলেন, “হাসমত একজন এজাহারভুক্ত আসামি। অপরাধ ছাড়া কাউকে আটক করা হয়নি।”
হাসমত ‘এজাহারভুক্ত’ হওয়ার পরও কীভাবে ছাড়া হল জানতে সন্ধ্যায় ওসি কামরুলকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “আমি এখন স্যারের সঙ্গে কথা বলছি, পরে কথা বলব।”
এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
আরও পড়ুন: