বাস মালিকরা তাদের স্বার্থের জন্য বিআরটিসি বন্ধ করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রী তাসলিমা খাতুন।
Published : 27 Jan 2024, 11:56 PM
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিআরটিসি বাস বন্ধের দাবিতে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন মালিক ও শ্রমিক নেতারা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
শনিবার সকাল থেকে এই মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অটোরিকশায় অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
ময়মনসিংহ জেলা মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন চানু বলেন, “সকাল থেকে শ্রমিকরা কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলকারী শ্যামল ছায়া ও এম কে সুপার বাস বন্ধ রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।”
ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জগামী যাত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, “সকালে জরুরি কাজে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার জন্য ব্রিজে এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ। পরে অটোরিকশায় দ্বিগুণ ভাড়ায় গন্তব্যে গেছি।”
বাস মালিকরা তাদের স্বার্থের জন্য বিআরটিসি বাস বন্ধ করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন আরেক যাত্রী তাসলিমা খাতুন।
তিনি বলেন, “এটা যৌক্তিক না। বিআরটিসি বাস বন্ধ হলে আমরা যেখানে কম খরচে চলাচল করতে পারি সেটি আর হবে না।”
এম কে সুপার ও শ্যামল ছায়া বাসের পরিচালনা কমিটির সভাপতি তারা মিয়া বলেন, পাটগুদাম ব্রিজ মোড় থেকে এম কে সুপারের ৬০টি এবং শ্যামল ছায়া পরিবহনের ৪০টি বাস চলাচল করে। এর মাঝে ডাবল ডেকারের বিআরটিসি বাস চলে আটটি।
“বিআরটিসি বাসে ভাড়া কম হওয়ায় সব যাত্রী বিআরটিসি বাসে চড়েন। এতে আমাদের এম কে সুপার ও শ্যামল ছায়া পরিবহনের বাস একবার আসা-যাওয়া করলে তেলের টাকাও থাকে না।
“গাড়ির আমদানি, শ্রমিক খরচ কোনোটাই উঠে না। যে কারণে শ্রমিক ও বাস মালিকরা সকাল থেকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে এম কে সুপার ও শ্যামল ছায়া পরিবহনের বাস বন্ধ রেখেছেন।”
বিআরটিসি বাস চালু আছে কিনা জানতে চাইলে তারা মিয়া বলেন, “এম কে সুপার ও শ্যামল ছায়ার বাস বন্ধ। তাই, বিআরটিসি বাসও চলতে দেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “এ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। তবে এই সড়কে বিআরটিসি বন্ধ না করলে কোনো বাস চলবে না। ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কে কোনো লোকাল বাস নেই। সেখানে বিআরটিসি বাস দিলে আমাদের ভালো হয়।”
জেলা ট্রাফিক পরিদর্শক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনায় বসেছে। বাস বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েছে। আশা করছি, বিষয়টি দ্রুত সুরাহা হবে।”