গরিব মানুষ বরই খাবে, আর তুমি আঙুর-খেজুর খাবা? শিল্পমন্ত্রীকে ইনু

শিল্পমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাসদ সভাপতি।

জাতীয় যুবজোটের রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য দেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

আঙুর, খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দেওয়ায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

সোমবার বিকালে জাতীয় যুবজোটের রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নগরীর গণকপাড়ায় জয় বাংলা চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে ইনু বলেন, “একটু আগে মোবাইলে দেখলাম, এক মন্ত্রী বলছেন, ‘রোজার সময় খেজুর আর আঙুর দিয়ে ইফতার কইরেন না, বরই দিয়ে করেন।’

“আল্লাহ, কী বলব বলেন! নিত্যপণ্যের মূল্যে মানুষ জর্জরিত। আপনি (মন্ত্রী) মানুষের সঙ্গে ঠাট্টা-মশকরা করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই ধরনের মন্ত্রীকে এখনই... বের করে দেন।”

তিনি বলেন, “কত বড় সাহস! বরই দিয়ে! যুবসমাজ জাগো। বরইয়ের বস্তা ওই মন্ত্রীর বাসায় ফেল। আমি বরই দিয়ে ইফতারি করব, আর তুমি খেজুর-আঙুর খাবা?

“সাহস থাকে তো খেজুর আর আঙুরের আমদানি নিষিদ্ধ কর। খেজুর আর আঙুর আমদানি করবা, গরিব মানুষ বরই খাবে, তুমি আঙুর আর খেজুর খাবা, তা হবে না, তা হবে না।”

সাবেক সংসদ সদস্য ইনু বলেন, “মাত্র দুমাস হলো নির্বাচন শেষ হয়েছে। একটা উত্তাপহীন রাজনীতির কথা ছিল। কিন্তু একটা গুমোট ভাব, কোনো উত্তেজনা নেই। বিরোধিতার মতো রাজনৈতিক যুদ্ধের ভেতরে নির্বাচন কখনো ভালো হয় না, তাই হয়েছে।

“কমতি আছে, ঘাটতি আছে। কিন্তু দিনের শেষে বাংলাদেশের এত বিরোধিতার মুখেও নির্বাচনের রাজনীতির অনিশ্চয়তা দূর করে নির্বাচনটা হয়েছে। একটা স্বস্তি এসেছে। কিন্তু নিম্নআয়ের মানুষ, দিন আনে দিন খায়, নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনে কোনো স্বস্তি আসেনি। তারা পেটের জ্বালায় জর্জরিত।

“তেল, নুন, পেঁয়াজ, চিনি, আদা, রসুন, মরিচ, যেটাতেই হাত দেয় হাত পুড়ে যাচ্ছে। সকালে একদাম, বিকালে ডাবল দাম।”

প্রধানমন্ত্রী হুংকার ছাড়ছেন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে; মন্ত্রীরা চিৎকার করছেন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে, কিন্তু কমছে না; দাম বেড়েই চলেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইনু।

সমাবেশে জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মজিবুল হক বুক, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি, মহানগর জাসদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, রাজশাহী জেলা জাসদের সভাপতি প্রদীপ মৃধা, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু ও যুবজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শরিফুল করিম স্বপন উপস্থিত ছিলেন।

যুবজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মহানগরের সভাপতি শরিফুল ইসলাম সুজন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।