টাঙ্গাইলে ইয়াবা `ব্যবসায়ী’কে হত্যার অভিযোগে ৩ `সেবনকারী’ গ্রেপ্তার

ফরিদ বাকিতে ইয়াবা বিক্রি করবে না জানালে এ নিয়ে তার সঙ্গে তিন জনের ঝগড়া হয়।

পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার তিন জন।

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় বাকিতে ইয়াবা না দেওয়ায় এক ‘মাদক ব্যবসায়ীকে’ শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

শনিবার উপজেলার বীরসলীল গ্রামে সেচ পাম্পের ঘর থেকে ফরিদ উদ্দিনের লাশ উদ্ধারের তিন দিন পর মঙ্লবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমীন।

গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন, উপজেলার ভাড়রা গ্রামের মো. অলি তালুকদার (১৯), মো. কামাল হোসেন (২৯) ও শালিয়ারা গ্রামের মো. সোহানুর ইসলাম ফারদিন (২০)।

বুধবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমীন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর কৃষি জমিতে পানি দেওয়ার কথা বলে ফরিদ উদ্দিন (৪৫) তার সেচ পাম্পের ঘরে যান। কিন্তু তিনি বাড়ি ফিরে আসেনি।

শনিবার তার চাচাতো ভাই মধু মিয়া ও প্রতিবেশি পান্নু মিয়া সেচ পাম্পের ঘরের কাছে কাজ করার সময় ঘরটি তালাবদ্ধ দেখেন। সেখানে ফরিদের পোষা কুকুর উচ্চস্বরে ঘেউ ঘেউ করছিল। তখন মধু ও পান্নু ঘরের ফাঁক দিয়ে দেখতে পান ফরিদ বিছানার উপর পড়ে আছে।

তারা বিষয়টি পরিবার ও পুলিশকে জানালে বিকালে সেখান থেকে ফরিদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে ফরিদের স্ত্রী শারমিন সুলতানা লিলি বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নাগরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, সোমবার মামলাটি পিবিআই গ্রহণ করে। এরপর তদন্ত করে মঙ্গলবার রাতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে সিরাজ আমীন বলেন, ফরিদ উদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবার ব্যবসা করতেন। তার কাছ থেকে আসামিরা ইয়াবা কিনে সেবন করতেন।

শুক্রবার রাতেও তারা তিন জন ফরিদের কাছে ইয়াবা কিনতে যায়। তবে ফরিদ বাকিতে ইয়াবা বিক্রি করবে না জানায়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে ফরিদের ঝগড়া হয়।

এক পর্যায়ে ঘরে থাকা স্লাইডরেঞ্জ দিয়ে তারা ফরিদের মাথার পেছনে আঘাত করলে তিনি পড়ে যান। পরে রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে গ্রেপ্তাররা।

তারা স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিতে রাজি হয়েছেন। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।