সপ্তাহের শনিবার ও বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কেনা-বেচা চলবে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।
Published : 06 May 2023, 11:56 PM
ভারতের মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিলস ও সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সীমান্ত হাটে কেনা-বেচা শুরু হয়েছে।
শনিবার সকালে এ হাটের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও সিলেটে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে দুদেশের প্রধানমন্ত্রীরা হাটের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেও মহামারী করোনার কারণে কার্যক্রম শুরু করা যায়নি বলে জানান কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং।
তিনি জানান, ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রসারের লক্ষ্যে সীমান্ত হাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ সীমান্তে এক একর জায়গার উপর প্রস্তাবিত এই হাটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে একই বছর শেষ হয়।
লুসিকান্ত হাজং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত বছরের ডিসেম্বরে কেনা-বেচা কার্যক্রম চালু করার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত তা হয়নি। এরপর দুদেশের সমঝোতায় আজ শনিবার চালু করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এ বর্ডার হাটের মাধ্যমে দুদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।”
সপ্তাহের শনিবার ও বুধবার দুদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কেনা-বেচা চলবে।
“হাটের অবস্থান থেকে উভয় দেশের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারীরা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ পাবেন।”
সীমান্ত হাটে ভারতের ২৬টি ও বাংলাদেশের ২৪টি স্টলে পণ্য বিক্রির সুযোগ থাকছে জানিয়ে ইউএনও লুসিকান্ত হাজং আরও বলেন, “আবেদনকারী বিক্রেতাদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে ২৪ জন বিক্রেতা বাছাই করা হয়েছে। পরে অন্য আবেদনকারী বিক্রেতাদের লটারির মাধ্যমে সুযোগ দেওয়া হবে।”
ইউএনও বলেন, “আবেদনকারী ক্রেতাদের মধ্যে বর্ডার হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরে কার্ড বিতরণ হচ্ছে। তাছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের ভিজিটর কার্ডের ব্যবস্থা হচ্ছে।”
একজন ক্রেতা একদিনে সর্বোচ্চ ২০০ ডলারের সমমান টাকার পণ্য ক্রয় করতে পারবেন জানিয়ে লুসিকান্ত হাজং বলেন, “প্রবেশ ফি বাবদ কার্ডধারী একজন ক্রেতাকে ৩০ টাকা ও বিক্রেতাকে ৭০ টাকা করে দিতে হবে। এ টাকা ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদনক্রমে এই হাটের সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হবে।”
সীমান্ত হাট উদ্বোধনের সময় দুদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং, সোহরা কাস্টমস অফিসের ইন্সপেক্টর আনান্দ ঝাঁ, ভোলাগঞ্জ বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার নিতিন উপাধ্যায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া উপস্থিত ছিলেন।