‘সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের’ জন্য কক্সবাজারে টেকনাফে একটি বাড়িতে জড়ো করা সাত রোহিঙ্গাসহ ২২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বিজিবি।
মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়ার প্রয়াত নাজির হোসেনের ছেলে জামাল হোসেনের বসতঘর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানান টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান।
উদ্ধারদের মধ্যে এক শিশু, এক নারী ও ২০ পুরুষ রয়েছেন।
হাফিজুর বলেন, ওই বাড়িতে কয়েকজন লোককে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা হয়েছে খবরে বিজিবি ও পুলিশের একটি যৌথ দল অভিযান চালায়। বাড়িটি ঘিরে ফেললে কয়েকজন কৌশলে পালিয়ে যায়।
“পরে জামাল হোসেনের বসতঘর থেকে ১৫ জন বাংলাদেশি এবং সাত জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করা হয়। তাদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য সেখানে আনা হয় বলে জানিয়েছেন।”
টেকনাফ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিল মোহাম্মাদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযানে জামাল হোসেনের বসতঘর থেকে ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়ারা বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের অজ্ঞাত দালালের যোগসাজশে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে মালেশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
টেকনাফ থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, “পাচারকালে উদ্ধার হওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের বিষয়ে বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ প্রসঙ্গে জানতে বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।