চাঁদপুরে জাটকা ধরায় জাল-নৌকাসহ ২৯ জেলে আটক

অভিযানে আটক জেলেদের কাছ থেকে নদীতে পেতে রাখা কারেন্টজাল, ৫টি মাছ ধরার নৌকা এবং ১৮৮ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে ২৯ জেলেকে আটক করেছে নৌপুলিশ। 

বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নদীতে অভিযান চালিয়ে জাটকা ধরার সময় হাতেনাতে জেলেদের আটক করা হয় বলে জেলার নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান জানান।

আটক জেলেদের সবার বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়; অভিযানে তাদের কাছ থেকে কারেন্টজাল, ৫টি মাছ ধরার নৌকা ও ১৮৮ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।

ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আটকদের মধ্যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে মডেল থানায় মৎস্য আইনে মামলা করা হয়েছে, ৮জন এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড পেয়েছেন। এছাড়া ৩ জন শিশু জেলেকে সতর্ক করে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।“

মামলা হওয়া ১৮ জেলে হলেন- মো. ফারুক (২৬), মো. কবির (১৯), মো. শামীম (১৯), মো. ইমরান (১৯), মো. মাহবুব (২০), জাবের হোসেন (১৯), আলমগীর প্রধানিয়া (৪০), রাশেদ হোসেন শেখ (২২), রফিকুল ইসলাম বেপারী (৬০), শাহাদাত হোসেন ইমান (২০), সৈয়দ হোসেন শিকদার (৬২), বিল্লাল হোসেন প্রধানিয়া (৩০), দুলাল মৃধা (৩৮), আক্তার হোসেন গাজী (৪৫), আবদুল করিম তপাদার (৪৫), আজির আলী মির (৫০), মহসিন প্রধানিয়া (৪০), আল-আমিন হাওলাদার (২৬)।

এক মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন- শুক্কুর আলী (৩৪), আমির হোসেন (৩২), শিপন (২০), সেন্টু (৩২), মাঈন উদ্দিন (১৯), কবির হোসেন (২২), মো. সুমন (২০), শেখ ফরিদ (২৮)।

জব্দ করা কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, পাঁচটি নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। আর ১৮৮ কেজি জাটকা স্থানীয় গরীব দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।

জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনায় সব ধরনেরমাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এসময় নদীতে মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ।