সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মির্জা ফখরুল আসেননি: তথ্যমন্ত্রী

মন্ত্রী বলেন, “ঢাকায় বসে মির্জা ফখরুল শুধু সরকারের ব্যর্থতা খুঁজছেন। আমরা এসেছি, হয়তো আমাদের পর তিনি আসবেন।”

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2022, 08:38 PM
Updated : 2 Oct 2022, 08:38 PM

করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির পর সপ্তাহ পার হলেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘটনাস্থলে না আসায় সমালোচনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

রোববার দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেন।

মন্ত্রী বলেন, “ঢাকায় বসে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) শুধু সরকারের ব্যর্থতা খুঁজছেন। আমরা এসেছি, হয়তো আমাদের পর তিনি আসবেন।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “আওয়ামী লীগের আদর্শ হল, মানুষের পাশে থাকা, সাধ্যমত সহায়তা করা। এ জন্যই আমরা এ এলাকার শোকে সামিল হতে অসহায় মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।”

তাদের অর্থ দিয়ে শোক মুছে দেওয়া না গেলেও বিপদের দিনে এ সহায়তা সামান্য হলেও কাজে লাগবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, “আওয়ামী লীগ কখনো বিপদে মানুষকে দূরে ঠেলে দেন না। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আছি এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকব।”

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনার দিন থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি স্থগিত করে তিনি এলাকায় অবস্থান ও প্রশাসনের সার্বিক দিক সমন্বয় ও তদারকি করছেন জানিয়ে সুজন বলেন, “এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে করতোয়া আউলিয়ার ঘাটে সেতু নির্মাণ হবে। সেতু নির্মাণের সব সক্ষমতা যাচাই করে এর বরাদ্দ ইতোমধ্যে একনেক-এ পাস হয়েছে। এ এলাকার মানুষের জন্য এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ছিল; আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যেই ইনশাল্লাহ এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।”

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বোদা পৌরসভার মেয়র ওয়াহেদুজ্জামান সুজা।

২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় করে বোদা উপজেলার বরদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন উৎসবে যোগ দিতে।

দুপুরে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায় একটি নৌকা ডুবে যায়। কিছু মানুষ সাঁতরে তীরে ফিরতে পারলেও অনেকে নিখোঁজ থাকেন। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নামেন তল্লাশিতে। পরে কয়েকদিন ধরে লাশ উদ্ধার হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।