সারা বিশ্বের ক্যামেরা এখন আমার ওপর: আইনমন্ত্রী

বিএনপি যেহেতু ভোট ছাড়াই পাশ করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে, তাই এখন জনগণকে ভোট দিতে কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেছেন, “যখন নির্বাচন হত- তখন বিএনপি ও জামায়াত নেতারা এলাকায় গিয়ে বলতেন, আপনারা আমাকে ভোট দেবেন? ভোট দিলে হাত তুলেন। তারা যে মাস্তান- তাদের ভয়ে মানুষ হাত তুলত। তারপর বলত আপনারা হাত তুলেছেন, আমি ভোট পেয়েছি, আপনাদের আর কেন্দ্রে যাওয়া লাগবে না। সেই জামানা চলে গেছে।

“আমি বিশ্বাস করি আপনারা আপনাদের অধিকার সম্পর্কে জ্ঞাত আছেন। আমি বিশ্বাস করি আপনারা আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চান এবং কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন”, যোগ করেন আনিসুল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর খেলার মাঠে আয়োজিত নির্বাচনি জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে।

আখাউড়া ও কসবা উপজেলা নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ সংসদীয় আসনে টানা তৃতীয়বারের মত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আনিসুল হক। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচার চলাকালে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক একজন আওয়ামী লীগ নেতার বরাতে একটি সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, আখাউড়া উপজেলায় যে ইউনিয়ন যতবেশি ভোটার কেন্দ্রে আনতে পারবে সেই ইউনিয়নের নেতাদের পুরস্কৃত করা হবে। যদিও পরে সেই জনপ্রতিনিধি এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জনসভায় সেই বিষয় প্রসঙ্গে নৌকার প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, “আমি আইনমন্ত্রী। সারাবিশ্বের ক্যামেরা ফিট করে রেখেছে আমার ওপরে। কোন মিয়া সাহেব নাকি বলেছেন, যত ভোট দেবে পুরস্কার পাবে। আমি কিন্তু এরকম কথা বলি নাই। লিখে দিছে খবরে, আমি নাকি এ কথা বলেছি।

“সেই জন্যই বললাম, ক্যামেরাটা ধরা আছে আমার ওপরে। আপনারা সত্যিকারে যদি আমাকে ভালোবাসেন, তাহলে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সারাবিশ্বকে দেখাবেন আমরা আমাদের সন্তান আনিসুল হককে ভালোবাসি”, যোগ করেন আনিসুল হক।

আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান নান্নুর সভাপতিত্বে জনসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।