ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় যুবলীগ কর্মী মোখসুদ আলম বিপ্লবের (৩৬) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিপ্লবের স্ত্রী আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান জানান।
আসামিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ রফিক, চরচান্দিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী নাজিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ কর্মী ও ছাড়াইতকান্দি হোছাইনিয়া মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলী মর্তুজা এবং চরচান্দিয়ার যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ করিম।
বুধবার দুপুরে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের পশ্চিম সুজাপুর গ্রামের চুনি মাঝি বাড়ির নূরুল হক খোকা মিয়ার ছেলে মোখসুদ আলম বিপ্লবের ঝুলন্ত মরদেহ শয়ন কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মামা আবুল হাশেম বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেন।
বুধবার বিপ্লবের স্ত্রী আকলিমা আক্তার তাদের তিন সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি ছিলেন। আর বিপ্লবের মা ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলায় বিপ্লবের স্ত্রী উল্লেখ করেন, আসামিদের সঙ্গে তার স্বামীর পূর্ববিরোধ রয়েছে। আসামিরা বিপ্লবকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। তখন বিপ্লব ফেইসবুকে লাইভে এসে এর প্রতিকারও চেয়েছিলেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিপ্লবের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
পুলিশ জানায়, মোখসুদ আলম বিপ্লবের বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় চারটি ডাকাতি ও চারটি মাদক আইনের মামলা রয়েছে। তিনি একাধিকবার জেলও খেটেছেন।