গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা আছে; কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানে এর অভাব রয়েছে।”
Published : 27 Nov 2023, 11:40 AM
রোববার প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে গাজীপুরের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আছে।
গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে ৯৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭১৪ জন, পাসের হার ৭৪.৬১%; জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন।
টঙ্গী সরকারি কলেজে ৭৮৭ জনের মধ্যে ৬৫৫ জন পাস করেছে, পাসের হার ৮৩.২৩%; জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন।
গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজে ১ হাজার ১৪৮ জনের মধ্যে পাস করেছে ১০০৮ জন, পাসের হার ৮৭.৮০%; জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০১ জন।
শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজে ৫১২ জনের মধ্যে পাস করেছে ২৯৪ জন, পাসের হার ৫২.৪২%; জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।
কাপাসিয়ার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সরকারি কলেজে ৪৩৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ২৮২ জন, পাসের হার ৬৪.৮৩%; কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।
কালিয়াকৈরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজে ৬১৭ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪২৪ জন, পাসের হার ৬৮.৭২%; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।
কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজে ৭১৯ জনের মধ্যে পাস করেছে ৪০২ জন, পাসের হার ৫৫.৯১%; জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।
অপরদিকে, গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ৮১২ জনের মধ্যে পাস করেছে ৮০৭ জন, পাসের হার ৯৯.৩৮%; জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮১ জন।
রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজে ৩৪৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩৪৪ জন, পাসের হার ৯৯.৪২%; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৪ জন।
টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজে ৭০৩ জনের মধ্যে পাস করেছে ৬৫৪ জন, পাসের হার ৯৩.০৩%; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৪।
গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১১৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ১১৫ জন, পাসের হার ৯৯.১৪%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন।
শ্রীপুর আবেদ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩১ জনের মধ্যে পাস করেছে ৩১ জন, পাসের হার ১০০%; জিপিএ-৫ পেয়েছে-১ জন।
ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩১২ জনের মধ্যে পাস করেছে ২৯১ জন, পাসের হার ৯৩.২৭%; জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩ জন।
মিছির আলী খান মেমোরিয়াল কলেজে ২৪৬ জনের মধ্যে পাস করেছে ২৪১ জন, পাসের হার ৯৭.৯৭%; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন।
কাপাসিয়ার বর্ণমালা কলেজে ১৭৭ জনের মধ্যে পাস করেছে ১৬০ জন, পাসের হার ৯০.৪০%; জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।
গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন বলেন, “বেসরকারি কলেজে নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনিটরিং করা হয়। তারা একটা জবাবদিহিতার মধ্যে থাকে। কিন্তু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এর অভাব রয়েছে। তাই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলাফল খারাপ হচ্ছে।”