এই নির্বাচনে বিএনপি না থাকলেও দলটির সমর্থকদের ভোটই জয়-পরাজয়ের ‘নিয়ামক‘হবে, বলছেন ভোটাররা।
Published : 06 Mar 2024, 11:06 AM
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপির কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা থাকলেও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপনির্বাচনে দুই সাবেক নেতার পক্ষে মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন দলটির সমর্থকরা।
প্রকাশ্যে প্রচারের কাজে থাকা নেতাকর্মীরা বলছেন, কুমিল্লার বিএনপি সমর্থকরা একরকম ‘জিম্মি’ অবস্থায় রয়েছেন। তাদের পিঠ ‘দেয়ালে’ ঠেকেছে। ‘নিরুপায়’ হয়ে তারা নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন।
তবে দলীয়ভাবে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, যে দুজন নেতা নির্বাচনে আছেন, দীর্ঘদিন আগে তারা দল থেকে বহিষ্কৃত। তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন। এই নির্বাচনের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ওই নেতা আরও বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে’ এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ব্যাপারে বিএনপির সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিএনপি এই নির্বাচনের কাউকে সমর্থনও করেনি।
নগরীর তিনটি ওয়ার্ডে অন্তত ১০ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, অতীতের অভিজ্ঞতায় তারা মনে করেন, এখানে বিএনপির ভোট বেশি। ফলে এই নির্বাচনে বিএনপি না থাকলেও দলটির ভোটই জয়-পরাজয়ের ‘নিয়ামক‘ হিসেবে কাজ করবে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভোটাররা কেন্দ্রে না গেলেও এবার যাবে বলে মনে করছেন তারা।
তবে ভোটাররা এটাও বলছেন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে আনার ক্ষেত্রে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা মূল ভূমিকা পালন করে থাকেন। এবার কমিল্লায় শুধু মেয়র পদে উপনির্বাচন হচ্ছে। ফলে সব প্রার্থীই যেহেতু শক্তিশালী, তারাই নিজ দায়িত্বে কেন্দ্র ভরাবে।
৯ মার্চ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) এ সিটিতে মেয়র পদে উপনির্বাচন হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ‘কেন্দ্রে ভোটারদের টানতে এবং দলীয় বিভেদ দূর করতে’ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচন এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউকে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
ফলে এবারের নির্বাচনে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দুইজন নেতা এবং বিএনপির সাবেক দুইজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
তারা হলেন- কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও দুইবারের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি), কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া), কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা (বাস) এবং কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিম (হাতি)।
২০২২ সালের জুনে দলের ঘোষণা অমান্য করে ভোটের মাঠে প্রার্থী হওয়ায় সাক্কু ও কায়সার দুজনকেই দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। নির্বাচনে সাক্কু মাত্র শতিনেক ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাতের কাছে পরাজিত হন। সেই নির্বাচনে প্রথমবারের মত ভোটে এসে ২৯ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন নিজাম উদ্দিন কায়সার।
বিএনপির এই দুই নেতার ভোট বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের মোট ভোটের চেয়ে ২৮ হাজারের বেশি ছিল। সেবার বিএনপির ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার কারণেই সাক্কুকে পরাজিত হতে হয়েছে- নির্বাচনের পর এমন বিশ্লেষণ দিয়েছিলেন কুমিল্লার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
নির্বাচনে সাক্কু-কায়সার দুজনই পরাজিত হলেও তারা অন্য কোনো দলে যাননি। বরং বরাবর বিএনপির মতাদর্শেই নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগও রেখেছেন। আর তারই ফলস্বরূপ উপনির্বাচনে এই দুই নেতার পেছনের বিএনপির নেতাকর্মীরা দিনরাত এক করে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
আর মাত্র দুদিন প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন প্রার্থীরা। ফলে এ উপনির্বাচনে প্রচার এখন তুঙ্গে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নেতাকর্মীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “২০২২ সালের জুনের নির্বাচনেও বিএনপি আসেনি। তখন অনেক বিএনপি নেতা আড়ালে-আবডালে থেকে দুই নেতাকে সমর্থন দিয়েছেন, প্রচারে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অন্যরকম।
“কুমিল্লা মহানগর, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী দুই প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে নেমে পড়েছেন। ভোটের মাঠ ঘুরে দেখলে মনে হবে, এখানে বিএনপির ভোট বর্জনের কোনো কর্মসূচি নেই!”
মাঠের চিত্র: কে কোন দিকে
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি দুটি ধারায় বিভক্ত। মূলধারার নিয়ন্ত্রক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন। আর দল থেকে বহিষ্কার হয়ে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায় সাবেক মেয়র সাক্কু আরেক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ।
এই দুই পক্ষের বিরোধ দীর্ঘদিন ধরেই প্রকাশ্য। নিজাম উদ্দিন কায়সার বিএনপি নেতা হাজী আমিন-উর- রশিদ ইয়াছিনের শ্যালক। জেলা বিএনপির একটা বড় অংশ তার অনুসারী। এ কারণে দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী এখন কায়সারের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে কাজ করছেন বলে মনে করছেন দলটির সমর্থকরা।
গত কয়েকদিন বিএনপিপন্থি দুই নেতার প্রচার পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, সমর্থকরা নিজেদের প্রতীকে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। তারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা বাতিল ও দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়েও স্লোগান দিচ্ছেন।
কায়সারের ভোটের প্রচারের সময় ‘খালেদা জিয়ার মার্কা, ঘোড়া মার্কা’, ‘তারেক রহমানের মার্কা, ঘোড়া মার্কা’, ‘বিএনপির মার্কা, ঘোড়া মার্কা’, ‘হাজী ইয়াছিনের মার্কা, ঘোড়া মার্কা’, ‘নিজাম উদ্দিন কায়সারের মার্কা, ঘোড়া মার্কা’- কর্মীদের ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
কায়সারের সঙ্গে প্রচারে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পূর্ব বিএনপির সাবেক সভাপতি এস এ বারি সেলিম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান ছুটি, বিএনপি নেতা শহীদুল্লাহ রতন, সাবেক কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন, ভিপি মো. দুলাল, আব্দুল জলিল, আব্দুর রহমান, মহানগর বিএনপির সদস্য জামাল হোসেন, রিয়াজ খান রাজু, জেলা বিএনপি নেতা রেজাউল কাইয়ুম, শফিউল আলম রায়হান, মহানগর কৃষক দলের নেতা ইকরাম হোসেন তাজ, আমির হোসেনকে দেখা গেছে।
সাক্কুর সঙ্গেও আছেন বিএনপির অনেক নেতাকর্মী; যদিও তা কায়সারের তুলনায় কিছুটা কম। তাদের মধ্যে রয়েছেন- কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক নেতা আনোয়ার হোসেন, আবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা নুরে আলম।
দল নির্বাচনে নেই, তারপরও কেন ভোটের মাঠে আছেন জানতে চাইলে কায়সারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পূর্ব বিএনপির সাবেক সভাপতি এস এ বারি সেলিম বলেন, “এই নির্বাচন দলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। নেতাকর্মীদের কেউ হাজী ইয়াছিন, আবার কেউ নিজাম উদ্দিন কায়সারকে ভালোবাসেন। সাক্কুকে ভালোবেসেও কেউ কেউ এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
“গত নির্বাচনে তরুণ প্রার্থী কায়সার বিএনপির তেমন সমর্থন না পেলেও প্রায় ৩০ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। যার ফলে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর ভোটে ভাটা পড়ে। তাই এবার কায়সারকে নিয়ে নেতাকর্মীরা বিজয়ের স্বপ্ন দেখছেন।”
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান ছুটি বলেন, “আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঘোড়া মার্কার পক্ষে কাজ করছি। এবার বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন। তারা শেষ পর্যন্ত যার পক্ষে থাকবেন, সেই প্রার্থীর পাল্লাই ভারী থাকবে।”
অপরদিকে সাক্কুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, “সাব্কে মেয়র সাক্কু কুমিল্লায় বিএনপির পরীক্ষিত নেতা। তিনি নগরীর জন্য অনেক কাজ করেছেন। এমনিতেই তার বিরাট ভোট ব্যাংক আছে। দলের নেতাকর্মীরাও তার পক্ষে আছেন। তিনিই পাস করবেন।”
দুই প্রার্থী যা বলছেন
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, “আমাকে দল বহিষ্কার করেছে। তাই এ নির্বাচনে দলের সঙ্গে আমার কোনো যোগসূত্র নেই। কুমিল্লার মানুষ জিম্মি। এখানে দলের কোনো প্রশ্ন নেই। এবারের নির্বাচন কুমিল্লার মানুষের জিম্মি দশা থেকে মুক্তির নির্বাচন। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাই মাঠে নেমে পড়েছেন।”
ঘোড়া প্রতীকের এই প্রার্থী বলেন, “কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তন চায়, জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হতে চায়। এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীরাও এখন মাঠে নেমে এসেছেন। এর আগের নির্বাচনে অনেকে গোপনে সমর্থন দিয়েছেন, কিন্তু এবার জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী সব নেতাকর্মী প্রকাশ্যে আমার পক্ষে কাজ করছেন। তারা নিজ দায়িত্বে নিজ নিজ ওয়ার্ডে কাজ করছেন। মানুষ একটা সুন্দর নগরীর জন্য শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।”
সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর সঙ্গেও তো বিএনপির নেতাকর্মীরা আছেন- এ বিষয়ে কায়সার বলেন, “তিনি এখন বিএনপির কেউ নন। তিনি এখন সাবেক হয়ে গেছেন। তিনি মেয়র হয়ে কীভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেছেন- সেটা কুমিল্লার মানুষ দেখেছে। এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।”
তবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর ভাষ্য, বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী তার সঙ্গে আছেন।
তিনি বলছিলেন, “আমি দুইবার সিটি মেয়র ছিলাম। গত নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষ আমাকে চায়, তাই এবারও নির্বাচনে এসেছি। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীদের সমর্থন আমার পক্ষে। তবে নেতাকর্মীদের একটি অংশ নেই, এটা সত্য। এ ছাড়া সবাই কি আর এক জায়গায় থাকবে? মানুষের যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে।
সাক্কু বলেন, “এটা জাতীয় নির্বাচন না, স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ ছাড়া এবার কোনো প্রার্থীর দলীয় প্রতীক নেই। এজন্য এখানে দল কোনো বড় ফ্যাক্টর না। সাধারণ ভোটাররাও আমার পক্ষে রয়েছেন। আমি জীবনের প্রায় ৪৫ বছর বিএনপির রাজনীতি করি। এজন্য বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী আমার পাশে থাকবে এটা স্বাভাবিক। সুষ্ঠু ভোট হলে আমার বিজয় নিশ্চিত।”
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, “এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। সুতরাং এই নির্বাচনের সঙ্গে বিএনপির কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই।
“এ ছাড়া তারা দুজনই বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত। আর যারা তাদের পক্ষ হয়ে কাজ করছেন- তারা সবাই ব্যক্তিগতভাবে করছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে কাউকে সমর্থন দেওয়া হয়নি।”
২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে মনিরুল হক সাক্কু বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়র ছিলেন। ২০১২ সালে কুমিল্লা সিটির করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে নাগরিক সমাজের ব্যানারে দাঁড়িয়ে নগরপিতা নির্বাচিত হন সাক্কু। সেবার তিনি আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আফজল খানকে হারান।
২০১৭ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মত মেয়র নির্বাচিত হন সাক্কু।
তবে ২০২২ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। সেবার নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রথমবার নির্বাচন করে বেশ সাড়া ফেলেছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা রিফাত বিজয়ী হলেও সেবার বিএনপির বহিষ্কৃত দুই নেতার মোট ভোট (৭৯,০৬৬) নৌকার চেয়ে ২৮ হাজার ৭৫৬টি বেশি ছিল।