তেঁতুলিয়ায় আবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, দুর্ভোগ

চটের বস্তা পরিয়ে গবাদিপশুকে তীব্র শীত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় আবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় বলে জানায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।

বৃহস্পতিবারের আগের তিন দিনও তেঁতুলিয়াতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা এই এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, শুক্রবার কুয়াশা কম থাকায় এবং হিমেল বাতাস থাকায় তাপমাত্রা কমে গেছে। তবে সকাল সকাল সূর্য উঠলেও হিমেল বাতাস থাকায় শীত অনুভূত হয়। এটা শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার আভাস বলে তিনি মন্তব্য করেন।

স্থানীয়রা জানান, পৌষের শুরু থেকেই এই এলাকায় জেঁকে বসতে শুরু করে শীত। নামতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। চারদিকে ঢেকে যায় ঘন কুয়াশায়। উত্তরের শীতল বাতাসে অনুভূত হতে শুরু করে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা।

কয়েক দিন ধরে রাতের বেলা বৃষ্টির মতো টিপটিপ করে ঝরে ঘন কুয়াশা। রাতে কুয়াশার সঙ্গে ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাস বাড়িয়ে দেয় শীতের তীব্রতা।

শহরের সিনেমা হল এলাকার পলাশ (৪৫) বলেন, গত দুদিন ধরে কুয়াশা একটু কম হলেও হিমেল বাতাসে শীত ঠিকই অনূভূত হয়। বিকেল গড়াতেই শীত লাগতে শুরু করে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে বেশ রোদ ওঠে। এতে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। তবে বিকাল গড়াতেই ফের শীত নামায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিশেষত নিম্ন আয়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠী দুর্ভোগে পড়েন।

শহরের রিক্সাচালক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, “শীত তো কম-বেশি আছেই। একটু রোদে তো শীত পুরা যায় না। হামার (আমাদের) মত গরিব লোকজন শীতের কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে।”

শীতের হাত থেকে বাঁচাতে বাড়িতে গরু-ছাগলগুলোকেও চট গায়ে দিয়ে রাখতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।

জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম বলেন, জেলার পাঁচ উপজেলায় এর মধ্যে প্রায় ২৩ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদা জানিয়ে আরও চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শীতবস্ত্রের অভাব হবে না।

এ কাজে তিনি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।