সিলেটে ভোটে থাকা ৪৩ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার 

দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করায় ৪১ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিলেও বহিষ্কারের তালিকায় আরও দুজনের নাম যোগ হয়েছে।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2023, 06:40 PM
Updated : 5 June 2023, 06:40 PM

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে প্রার্থী হওয়ায় খুলনা ও বরিশালের পর এবার বহিষ্কার হলেন সিলেট বিএনপির ৪৩ জন। 

সোমবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়।   
বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, “.... সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আপনি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিদ্বতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক নয়। আপনার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গত ১৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে করা গুম, খুন ও সরকারি পৈশাচিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে এমন পরিবারসহ গণতন্ত্রকামী জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। দলীয় গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কারর করা হলো। এবং গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে আপনার নাম একজন বেইমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে।”  

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু সিলেটে যারা দলের সিদ্ধান্ত আমান্য করে প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের বিএনপি আজীবন বহিষ্কার করেছে। 

“বিএনপির নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে নেই; আমরা অন্দোলনে আছি। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”  

মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার সিলেটে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ৪৩ জনকে বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।  

দলের সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রথমে ৪১ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয় হয়; পরে আরও ২ জন নেতার নাম পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সিলেটের ৪৩ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।  

আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। ২৩ মে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া শেষ হয়েছে। ২৫ জুন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়েছে। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল; ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ হয়। 

২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী হন বদর উদ্দিন কামরান; ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হন কারাগার থেকে। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হননি।
এর আগে এই কারণে খুলনার ৮ জন এবং বরিশালের ১৯ জনকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এবার ‘বহিষ্কারের ঝুঁকিতে’ সিলেট বিএনপির ৪১ জন

সিলেটে বিএনপির প্রার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিস

‘বিশ্বাসঘাতক’ রুপনসহ বরিশাল বিএনপির ১৯ নেতা বহিষ্কার 

খুলনায় ৮ কাউন্সিলর প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিস বিএনপির