নিয়োগ নিয়ে জটিলতা নিরসন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আরও ২৯ জনকে।
Published : 16 Oct 2023, 01:30 AM
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শুরুই হয়েছিল দুর্নীতি আর অনিয়মের মাধ্যমে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দিয়ে। প্রায় পাঁচ বছর পরে এসেও উচ্চশিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থা বিশেষ বদলায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, স্থায়ী সংবিধি না থাকায় স্থায়ী কোনো জনবল নিয়োগ দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ২৪২ জন কর্মচারীর মধ্যে উপাচার্য-রেজিস্ট্রারসহ মাত্র তিনজন নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন। বাকি সবার বেতন বন্ধ হয়ে আছে ১১ মাস ধরে।
অ্যাডহক ভিত্তিতে যারা নিয়োগ পেয়েছিলেন, তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এখনও নিয়মিত অফিস করে যাচ্ছেন। যদিও আইন অনুযায়ী, তাদের মেয়াদ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
এ নিয়ে জটিলতা নিরসন ও নিয়োগের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২ অক্টোবর অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আরও ২৯ জনকে। নতুন নিয়োগ যারা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে পুরনো অনেকে বাদ পড়েছেন।
এর আগে নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ৫৭ জনের মধ্যে ১৫ জন হাই কোর্টে গেছেন বেতন-ভাতার দাবিতে। আন্দোলন করছেন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কাজে থাকা কর্মচারীরাও।
এদিকে পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস করার কাজে অগ্রগতি হয়নি খুব বেশি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমও শুরু করা যায়নি।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত বলেন, “আমাদের আন্দোলন চলাকালে ২৯ জনকে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নতুন করে অ্যাডহক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে আমার যারা আন্দোলন করছি তাদের কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
“আমাদের অনেকে আবেদন করেছিল নিয়োগের জন্য। কেন এটি করা হয়েছে বুঝতে তা পারছি না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইউজিসি থেকে তাদের ১১২ জনের স্থায়ী নিয়োগের অনুমোদন রয়েছে। তবে স্থায়ী নিয়োগে সংবিধি না থাকার কারণে এখন নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
“আগে যারা অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন, আইনের বাধা ও মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা থাকায় তাদের মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব নয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়া বিভিন্ন পদে অতিরিক্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
“১৭২ জনের মধ্যে ১৩ জনকে দৈনিক মজুরি ও ১৫৯ জনকে অ্যাডহক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাদের নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।”
নিজের নিয়োগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, “আমি প্রথমে অ্যাডহক নিয়োগ পেয়েছিলাম; পরে আমার মেয়াদ থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাকে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। আগে ভারপ্রাপ্ত ছিলাম, এখন ভারমুক্ত হয়েছি।’’
বর্তমানে কাজ চালানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অ্যাডহক ভিত্তিতে ৪৫ জনের নিয়োগ অনুমোদন করেছে। তার মধ্যে ২ অক্টোবর ২৯ জনের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিদের নিয়োগও হবে বলে জানালেন রেজিস্ট্রার।
১১২ জনের বিপরীতে ২৪০ জন
দেশের চতুর্থ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০১৮ সালের অক্টোবরে কার্যক্রম শুরু করে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। নভেম্বরে প্রথম ভিসি হিসেবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পান শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অতিক্তি পরিচালক (অর্থ) নাঈমুল হক। শুরুতেই জনবল কাঠামোর বাইরে দ্বিগুণ নিয়োগের অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে।
আইন অনুযায়ী, ইউজিসির অনুমোদিত পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ভিসি ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অ্যাডহক ভিত্তিতে অতিরিক্ত নিয়োগ দেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিষয়টি নিয়ে ইউজিসি ও দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তে নামে। তাদের প্রতিবেদনে অনিয়মের সত্যতা মেলায় ২০২২ সালের ২২ জুন দুদকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক ভিসি অধ্যাপক মো. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নাঈমুল হককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
এরপর তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
ভিসি অধ্যাপক মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি অবসরে যান। আর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নাঈমুল হক চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন এবং রেজিস্ট্রার হিসেবে আছেন মো. ফজলুর রহমান।
এর মধ্যে চলতি বছরের ১৮ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০২৩’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ আইনে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নাম করা হয় ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়’। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আগের নামই দেখা যায়।
স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই, শিক্ষার্থীও নেই
স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার জন্য এ প্রতিষ্ঠান তৈরি হলেও পাঁচ বছর পরেও কোনো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি এ বিশ্ববিদ্যালয়। সিলেটের সব মেডিকেল, ডেন্টাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।
পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসের কাজও এগোয়নি। সিলেট শহরের চৌহাট্টা এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য চলতি বছরের ১৮ জুলাই দুই হাজার ৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে।
স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য শহরের পাশে দক্ষিণ সুরমা এলাকায় ২৬ একর জমি অধিগ্রহণ করার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। জমির বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবে; সেখানে অনুমোদন হলে সেই জমি অধিগ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি অস্থায়ী ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, কর্মচারীদের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। আগের নিয়োগের বিষয়ে কোনো ধরনের সুরাহা না করেই নতুন করে নিয়োগ দেওয়ায় অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা না পেয়ে তারা হতাশা প্রকাশ করেন।
অনেকেই বলেছেন, তারা নিয়মিত অফিস করছেন কিন্তু বেতন পাচ্ছেন না। এ নিয়ে তারা উপাচার্যের সঙ্গে কথাও বলেছেন। উপাচার্য বেতনের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
আন্দোলনের মধ্যে অ্যাডহক ভিত্তিতে ২৯ নিয়োগ
আগে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা দূর না করেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে কর্মরত বিভাগীয় কর্মচারীদের ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ না থাকায় তাদের মধ্যে অস্বস্তি ছিল। ২ অক্টোবর কর্তৃপক্ষ নতুন করে ২৯ জনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়। তারপরই আন্দোলনে নামেন আগের নিয়োগপ্রাপ্তরা।
৮ অক্টোবর সকালে চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন-ভাতা নিয়মিতকরণ ও কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিতের তিন দফা দাবিতে মৌন মিছিল করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিরা। ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’-এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় কর্মচারীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘না খেয়ে আর কতকাল, এবার চাই অধিকার’; ‘ভিক্ষা নয়, বেতন চাই’, ‘অনুগ্রহ নয়, চাকরি চাই’, ‘আর নয় কালক্ষেপণ, আমরা চাই বেতন-ভাতা নিয়মিতকরণ’, ‘হয় স্থায়ীকরণ, না হয় মরণ’, ‘আমি ক্ষুধার্ত, খাবার চাই না, বেতন চাই’ ইত্যাদি।
সিমেবি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক কমিটির আশরাফ আহমদ বলেন, “প্রায় এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুদফায় জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার আবেদন করলেও নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অনেকে পরিবার নিয়ে আগে শহরে বসবাস করতেন। কিন্তু বেতন না পেয়ে এখন পরিবার গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। মানবিক কারণে এই অবস্থার অবসান হওয়া উচিত।
পরিষদের সদস্যসচিব নাদিম সীমান্ত বলেন, তিন দফা দাবিতে আমরা টানা আন্দোলন করছি। ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর গণস্বাক্ষর কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতীকী কর্মবিরতি, ১২ অক্টোবর প্রতীকী অনশন করেছি।
পরিষদের দাবির মধ্যে রয়েছে- নিঃশর্তে সব পর্যায়ের কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করা, সবার বেতন নিয়মিত করা, কর্মস্থলে কাজের পরিবেশ নিশ্চিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন নিজস্ব স্থায়ী জায়গায় স্থানান্তর করা।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু থেকেই ইলেকট্রিশিয়ান পদে দৈনিক মুজরি ভিত্তিতে (মাস্টাররোলে) কাজ করেন মো. আবুল কাশেম। তার ভাষ্য, “আমাকে বলা হয়েছিল, পদ সৃষ্টি হওয়ার পর নিয়োগ দেওয়া হবে। এখনও অস্থায়ী ক্যাম্পাসের অফিসে কাজ করেছি। কিন্তু ২ অক্টোবর নতুন করে অ্যাডহক নিয়োগে আমার এক থেকে দেড় বছর পরে অফিস সহায়ক পদে কাজে যোগ দেওয়া হেলাল আহমদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শুনেছি।
“আমি ১১ মাস ধরে মুজরি ছাড়া কাজ করছি। তবে কেন এমনটি করা হল বুঝতে পারছি না; আমাকে কোনো কিছু জানানো হয়নি”, বলেন আবুল কাশেম।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ফজলুর রহমান বলেন, “অ্যাহডক ভিত্তিক বা মাস্টাররোলে যারা নিয়োগ পেয়েছিলেন তাদের অনেক আগেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আইনে অ্যাহডক ভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানোর সুয়োগ নেই; বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে জলবল নিয়োগ দেবে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ফেরদৌস জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি কাজ পরিচালনার জন্য ৪৫ জনকে অ্যাহডক ভিত্তিতে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ইউজিসি। এ নিয়োগ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বা না দিয়েও নেওয়া যাবে।
যারা বেতন-ভাতার জন্য আন্দোলন করছেন তাদের বিষয়টি ‘মানবিক’ হিসেবে বর্ণনা করে ইউজিসি সচিব বলেন, “এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ ছাড়া যে ১৫ জন বেতন-ভাতা ও নিয়োগের জন্য উচ্চ আদালতে রিট করেছেন তাদের ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এসব বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এইচএম এনায়েত হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।