বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনে জেএসএস এবং এর সহযোগী সংগঠনের সাড়ে চার শতাধিক প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক যোগদান করেন।
Published : 31 Jul 2023, 12:23 AM
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ১১তম জাতীয় সম্মেলন শেষে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্ব পুরনোদের হাতেই রয়েছে।
শুক্র ও শনিবার ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বৃহত্তম আন্দোলনে সামিল হউন’ স্লোগানে রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই সম্মেলন হয়।
জেএসএসের প্রচার বিভাগের সজীব চাকমা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার রাতে জানানো হয়, জাতীয় সম্মেলনে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), সহসভাপতি পদে ঊষাতন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক পদে প্রণতি বিকাশ চাকমা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শক্তিপদ ত্রিপুরা নির্বাচিত হয়েছেন।
এই কমিটি ২০১০ সালের নবম জাতীয় সম্মেলন থেকেই নেতৃত্বে রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনে সংগঠনের জেলা, থানা ও ইউনিয়ন শাখা এবং এর সহযোগী সংগঠনের সাড়ে চার শতাধিক প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক যোগদান করেন।
“সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলনের বর্তমান অবস্থা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পরিপন্থি ও জুম্ম স্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপ ও সংগঠনের অবস্থান ও কর্মকাণ্ডের উপর আলোচনা হয়।
সম্মেলনে প্রতিনিধিরা, চুক্তি স্বাক্ষরকারী দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনরায় আসীন হওয়ার পরও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় এবং এতে করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক পরিস্থিতি দিনদিন অবনতির দিকে ধাবিত হওয়ায় চরম ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, “চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনরত জুম্ম জনগণকে ‘সন্ত্রাসী’, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’, ‘অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত’, ‘চাঁদাবাজ’ ইত্যাদি তকমা দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে জুম্মদের মধ্য থেকে সুবিধাবাদী, তাঁবেদার ও উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিদের দিয়ে একের পর এক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সৃষ্টি করে এবং তাদেরকে চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজাকে সভাপতি এবং মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে (এম এন লারমা) সাধারণ সম্পাদক করে জেএসএস প্রতিষ্ঠিত হয়।