নরসিংদীতে রিমান্ডে থাকা হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

পুলিশ বলছে, আসামি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নরসিংদী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2022, 11:38 AM
Updated : 9 Nov 2022, 11:38 AM

নরসিংদীর রায়পুরা থানায় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় এক হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার সকাল ১০টার পরে পুলিশ আসামিকে রায়পুরা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর।

নিহত সুজন মিয়া (৩২) রায়পুরা উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে এবং তিনি স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার মধ্যরাতে সুজন মিয়া ও তার স্ত্রী লাভলী বেগমের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে লাভলী বেগমকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পরই পালিয়ে যান সুজন মিয়া।

এ ঘটনায় নিহতের মা মালেকা বেগম বাদী হয়ে সুজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ সোমবার বিকেলে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ফরিদপুরের আটরশি দরবার শরিফের পাশ থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার বিকালে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, “বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে রায়পুরা থানা হাজতের টয়লেটে গিয়ে গায়ের শার্ট খুলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সুজন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

এ ব্যাপারে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, “হাসপাতালে আনার পর তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার গলায় মোটা দাগ রয়েছে; মুখে ফেনা জাতীয় ছিল। যেটি ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলে থাকে। তার শরীরের বাইরে কোনো আঘাতের চিহ্ন বা কাটাছেঁড়া দেখা যায়নি।”

তবে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান ওই চিকিৎসা কর্মকর্তা।

স্ত্রী লাভলী বেগম হত্যার পর থেকেই সুজনের পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক আছেন। ফলে এ ব্যাপারে সুজনের পরিবারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।