জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর পরিবহন খরচ বৃদ্ধির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে; এতে ধানের মোকামে বেচাকেনা বন্ধ হয়ে গেছে।
ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এ মোকামে ধর্মঘট পালন করছেন ট্রাক মালিকরা। এ কারণে মোকামে ধানের বেচাকেনা বন্ধ থাকায় মোকামের শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
ট্রাক মালিকরা প্রতি বস্তা ধান পরিবহনে তিন টাকা ৬৫ পয়সা থেকে ছয় টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করছেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লোকসানের কারণ দেখিয়ে মোকাম থেকে ধান পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাক মালিকরা। ধান পরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ধর্মঘট করছেন তারা।
রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাক ধর্মঘটের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধানের এ মোকাম। দূর-দূরান্ত থেকে ধান নিয়ে আসা বেপারিরা যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন, তেমনি কর্মহীন বসে আছেন শ্রমিকরা।
আশুগঞ্জ উপজেলা ট্রাক মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আশরাফ আলী বলেন, আগে যে ভাড়া ছিল তাতেও লোকসানে ট্রাক চালাতে হয়েছে। এখন জ্বালানি তেলের দর যে হারে বেড়েছে, তাতে ট্রাক চালানো দায় হয়ে পড়েছে। ভাড়া না বাড়ালে ধর্মঘট চলতে থাকবে।
মোকামের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্রাক মালিকরা প্রতি বস্তা ধান পরিবহনে তিন টাকা ৬৫ পয়সা থেকে ছয় টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করছে। এ বিষয়ে ট্রাক মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেও কোনো সুরাহা হয়নি। তাদের দাবি অনুযায়ী ভাড়া বাড়লে প্রভাব পড়বে চালের বাজারে। তখন চালের দাম বাড়বে।
আশুগঞ্জ উপজেলা অটোরাইস মিল মালিক সমিতির সদস্য হাসান ইমরানের ভাষ্য, ট্রাকের ভাড়া বাড়লে এর প্রভাব পড়বে চালের বাজারে। কারণ পরিবহন খরচ বাড়লে গড়ে ধানের দাম বেড়ে যাবে। তখন নতুন সংকট তৈরি হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুগঞ্জ মোকামে ধানের মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মণ ধান বেচাকেনা হয়। আর বাকি সময় বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মণ। বর্তমানে মোকামে বিআর-২৯ ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা মণ। আর মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৯১০ থেকে ৯২০ টাকা মণ।
শুক্রবার গভীর রাত থেকে দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানো হয়েছে।