ভারতের মাওলানা জোহায়রুল হাসান এসব যৌতুকবিহীন বিয়ে পড়ান।
Published : 03 Feb 2024, 06:42 PM
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বে প্রায় ৭২ যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার বাদ আসর ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর বসে বলে জানান ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
তিনি বলেন, “ভারতের মাওলানা জোহায়রুল হাসান এসব যৌতুকবিহীন বিয়ে পড়ান। বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহর ফাতেমি’র নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী, মোহরানা ধরা হয় দেড়শ তোলা রূপা বা এর সমমূল্যের অর্থ।”
শনিবার সকালে টঙ্গী শহর, ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়। যত দূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। তুরাগ তীর লাখ লাখ মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠেছে। মানুষ বয়ান শ্রবণের পাশাপাশি ইবাদত-বন্দেগি করে সময় পার করছেন।
রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে।
শনিবার ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ ছিল যৌতুকবিহীন বিয়ে। ইসলামি শরিয়াহ্ মেনে তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রতিবারের মত এবারও যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর বসে। এজন্য দুদিন আগ থেকেই বর-কনের নাম নিবন্ধন করা হয়।
আয়োজকরা জানান, কনের সম্মতিতে দুপক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় এসব বিয়ে। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকেই মোনাজাতের মাধ্যমে নবদম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয়। এ সময় মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা-খেজুর ছিটিয়ে দেওয়া হয়।
ইজতেমা ময়দানে যৌতুকবিহীন বিয়ে করেছেন বরিশাল শহরের টাইলস ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফাইজুল হক (৩২)। তার গ্রামের বাড়ি বাকেরগঞ্জ উপজেলার খয়রাবাদ এলাকায়। তিনি জানান, মায়ের পছন্দে তিনি বিয়ে করেছেন এবং তার জন্য প্রথম দিনেই আয়োজক কমিটির কাছে নিজের নাম নিবন্ধন করেন।
জামালপুরের মেলান্দহ বাজার এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী মো. আইয়ুবুর খান (৪৫), টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকার মো. হারুনুর রশিদ (২৭), কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজলার শামুকজানি গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৫) যৌতুকবিহীন বিয়ে করেছেন। এভাবে বিয়ে করে তারা আনন্দিত বলেও জানান।