ফেনীতে গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

নাতনীর কাছে থাকা অতিরিক্ত চাবি দিয়ে দরজা খুললে ঘরে রোজিনার অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান তার মা।

রোজিনা আক্তার।

ফেনীতে তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাত ২টার দিকে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকার সরকার ভবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।

নিহত ৪৫ বছর বয়সী রোজিনা আক্তার সদর উপজেলার মোটবি ইউনিয়নের লস্কর হাট গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী। পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বেলাল রোজিনার দ্বিতীয় স্বামী। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছে। রোজিনা তিন সন্তানের জননী।

নিহতের মা রানি বেগম জানান, রোজিনা প্রচুর ঘুমের ওষুধ খেয়েছে জানিয়ে তার স্বামী বেলাল বুধবার সকালে ফোন করে মেয়ের খবর নিতে বলেছিল। কিন্তু তখন তিনি মেয়ের ভাড়া বাসায় যাননি।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু দুই দিনেও মোবাইলে মেয়ের কোনো খবর না পেয়ে শুক্রবার রাতে তিনি রোজিনার খবর নিতে তাদের ঘরে যান। সেখানে তিনি ঘরটি বাহিরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পান।

পরে নাতনীর কাছে থাকা অতিরিক্ত চাবি দিয়ে দরজা খুললে ঘরে রোজিনার অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান।

রোজিনার বোন সখি আক্তার বলেন, প্রেমের সম্পর্ক থেকে পাঁচ-ছয় মাস আগে বেলালের সঙ্গে তার বড় বোনের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে নিয়মিত ঝগড়া হতো।

রোজিনাকে হত্যা করে তার স্বামী পালিয়ে গেছে দাবি করে তিনি জানান, তার বোনের মরদেহের মুখে রক্তের দাগ দেখা গেছে।

ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবদীন লিটন বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি রাতেই ঘটনাস্থলে যান। পরে তিনি পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান জানান, রাতেই অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর একটি দলও ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে বলে জানান তিনি।

ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। রোজিনার স্বামী বেলালকে আটক করতে পারলে ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন করা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।