ঝিনাইদহ সদরে এক যুবককে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যার এক যুগেরও বেশি সময় পর ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. বাহাউদ্দিন আহমেদ তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আব্দুল খালেক জানান।
দণ্ডিতরা হলেন শৈলকুপা উপজেলার দক্ষিণ মনোহরপুর গ্রামের ছানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম পাভেল, ঝিনাইদহ সদরের খাজুরা শেখপাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে আলো, খাজুরা জোয়ার্দ্দার পাড়ার জয়নাল আবেদিনের ছেলে আসলাম, আব্দুল মজিদ মণ্ডলের ছেলে ইমরান, হাবিবুর রহমানের ছেলে সাদ্দাম এবং পবহাটি এলাকার জামাল মোল্লার ছেলে রাসেল।
তাদের মধ্যে পাভেল, আলো ও রাসেল পলাতক রয়েছেন।
মামলার বরাতে আইনজীবী আব্দুল খালেক জানান, ২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বেড়বিন্নি গ্রামের যুবক রহমত উল্যাহ খোকনকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরদিন সকালে জেলা শহরের খাজুরা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
পিপি আরও জানান, তদন্ত শেষে ১০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
“দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আর মামলা থেকে মাসুম, রিহাদ ও জামানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।”
এছাড়া মামলা চলাকালীন ফিরোজ নামের এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে পিপি আব্দুল খালেক জানান।