নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক।
Published : 28 Apr 2024, 08:28 PM
বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘটে রাঙামাটি ও চট্টগ্রামের সঙ্গে যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ রেখেছে খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ। ফলে প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।
বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদসহ তিন দফা দাবিতে পাঁচ জেলায় ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট ডেকেছে ‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’।
রোববার ভোর ৬টা থেকে জেলা বাস স্ট্যান্ডে যানবাহন না পাওয়ায় দুর্ভোগে পরেছে এই সড়কে চলাচলকারীরা। তীব্র তাপদাহের মধ্যে চলমান ধর্মঘটের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নারী ও শিশুরা।
ধর্মঘটের কারণে খাগড়াছড়ি বাস স্ট্যান্ডে আটকা পরা তরুণী জোবাইদা আক্তার বলেন, “ধর্মঘটের বিষয়টি জানতাম না। এখন স্টেশন এসে দেখি কোনো বাস নাই। তীব্র গরমের মধ্যে কত সময় দাঁড়িয়ে থাকা যায়? এই ধরনের ভোগান্তি মানা যায়। দ্রুত সমস্যা সমাধান হওয়া উচিত।”
মাটিরাঙায় বিভিন্ন বাস কাউন্টারে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছে যাত্রীরা।
কাউন্টারে অপেক্ষারত বেসরকারি চাকরিজীবী রবিন ত্রিপুরা বলেন, “আজকে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। অথচ কোনো বাস পাচ্ছি না। আজকে অফিসে পৌঁছাতে পারব কিনা তাও জানি না। আগে জানতে গতকালই চলে যেতাম।”
খাগড়াছড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরের মহালছড়িতে বাসে যাতায়াত করেন বেসরকারি উন্নয়ন কর্মী শিউলি ত্রিপুরা।
তিনি বলেন, “আজকে আর অফিস করা হলো না। বাস না পেয়ে এখন বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি। সকাল ৯ থেকে ১১টা পর্যন্ত গরমের মধ্যে অপেক্ষা করেছি। কোনো বাস ছাড়েনি।”
রাঙামাটিতে যাওয়ায় জন্য সকাল ৮টায় খাগড়াছড়ি বাস স্টেশনে আসেন জয়নাল আবেদিন।
তিনি বলেন, “পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ধর্মঘটের কারণ রাঙামাটিতে কোনো বাস যাচ্ছে না। বিকল্প কোনো যানবাহনও এই মুহূর্তে পাচ্ছি না।“
একইভাবে ভোগান্তিতে পরেছে চট্টগ্রামগামী যাত্রীরা।
দীঘিনালাহ বাসিন্দা নুর হোসেন বলেন, “ব্যবসায়িক কাজে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য এসেছি। কাউন্টারে আসার পর জানতে পেরেছি যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ।”
খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, “বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা আমাদেরকে মৌখিকভাবে বাস চলাচল বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আমরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি।”
নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।