প্রতিমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে তাকে আবার নির্বাচিত করার আহ্বান জানান আদাঐর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মীর মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।
Published : 24 Feb 2024, 08:17 AM
উন্নয়নের প্রশংসা করে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর পক্ষে ভোট চাইলেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা।
জেলার মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের এই আহ্বানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাকে বহিষ্কারের দাবিও উঠেছে দলে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রতিমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকায় একটি পাকা রাস্তা উদ্বোধন করতে যান। সেখানে এক জনসভায় অংশ নেন বিএনপি নেতা খোরশেদ। সেখানে প্রতিমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে তাকে আবার নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। এই ভিডিও পরে ভাইরাল হয়ে যায়।
বিএনপি নেতা বলেন, “আসলেই আমরা মাধবপুরবাসী অবহেলিত ছিলাম। এখন বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিভিন্ন ইউনিয়নে যেভাবে কাজ হইছে, বিগত ৪০ বছরেও এই কাজ হয় নাই। … আমাদের মন্ত্রী মহোদয় অত্যন্ত ভালো মানুষ, উনি জনগণের পাশে সব সময় থাকেন।
“… আমি দেখি আমার আদাঐর ইউনিয়নে কোনো মামলা হামলা কোনো কিছু নাই। কেন? কারণ মন্ত্রী মহোদয় ভালো। আমরা শান্তিতে ঘুমাইতাছি। চেয়ারম্যান হওয়ার পরে মানুষ অশান্তিতে থাকে। কিন্তু আমাদের মন্ত্রী মহোদয় ভালো, আমাদের প্রশাসনের কর্মকর্তা ইনশাআল্লাহ ভালো।
“যেহেতু এই রাস্তাটা হয়ে গেছে, আগামী দিনে আমি মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে বলব, আবার নির্বাচিত কইরা আনতে পারলে বাকি বাস্তাটা শারুলিয়া পর্যন্ত রাস্তাটা পাকাকরণ করার জন্য আমি প্রস্তাব রাখব।…
“যাই হোক আমি আপনাদের কাছে একটা জোরাল অনুরোধ রাখব, সামনে নির্বাচন, যাকে আমরা সব সময় পেয়েছি… মন্ত্রী মহোদয় মাসে দুইবার তিনবার আসছে, আমরা অবাধে দেখা করতে পারছি, যে কেউ দেখা করতে পারছে।
“কাজেই আমি বলব আমরা আগামী দিনে নির্দ্বিধায়, কোনো ইয়ে নাই, তাকে আমরা ভোট দিব সবাই। কী বলেন আপনারা? আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে তাকে ভোট দিব।”
বিএনপি নেতার এই বক্তব্য এলাকায় ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। ইউপি চেয়ারম্যানের নিজের দলে হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া।
ইউনিয়নের বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী বলেন, “খোরশেদ চেয়ারম্যানের কাজটা খুবই জঘন্য হয়েছে। তিনি তার নিজের দুর্নীতি ঢাকতে আওয়ামী লীগের নেতাদের ওপর সওয়ার হয়েছেন।
“উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মো. শাহজাহানকে বিষয়টা জানিয়েছি। তাকে বহিষ্কারের জন্য অনুরোধে জানিয়েছি।”
মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান হামদু বলেন, “তার কাজটি দালালির মতো হয়েছে। আমি সভাপতির সঙ্গে কথা বলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।”
বিএনপিতে বহিষ্কারের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে খোরশেদ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মন্ত্রী মদোহয় আমার এলাকায় এসেছেন, আমি কথাগুলো বলেছি। এখন বিএনপি যদি আমাকে বহিষ্কার করে, আমার করার কিছু নাই।”
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]