টুঙ্গিপাড়ার ইউএনও বলেন, সাড়ে ৩০০ বাড়িঘরে বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে।
Published : 28 May 2024, 07:36 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় অস্বাভাবিক জোয়ার ও বৃষ্টিপাতে সহস্রাধিক মাছের ঘের ভেসে গেছে; ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪০০ বাড়িঘরের।
রোববার বিকাল থেকেই জেলার সর্বত্র বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। তা অব্যাহত থাকে সোমবার সারারাত। এতে বিভিন্ন স্থানে প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়ে।
তবে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিম্নাঞ্চল হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় এখনও ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করতে পারেনি জেলা প্রশাসন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক বলেন, সাড়ে ৩০০ বাড়িঘরে বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। প্রায় ৪০০ লোককে বাঁশবাড়িয়া হাইস্কুল, পাটগাতি স্কুল, সরদারপাড়া স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১০০ পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবারও বিতরণ করা হয়েছে।
কোটালীপাড়ার ইউএনও শাহিনুর আক্তার বলেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় অনেক জায়গায় খোঁজ-খবর নেওয়া যাচ্ছে না। যতটুকু জানা যাচ্ছে, তাতে বলা যায়, বেশকিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের।
ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে বলে জানান ইউএনও।
অন্যদিকে, জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে আউস ধানের বীজতলা ও নিচু এলাকার শাকসবজি, পাট ক্ষেত তলিয়ে গেছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার জানান।
তবে কৃষি বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।