এ ঘটনায় ওই যুবক শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি আর এ ধরনের ঘটনা ঘটাবেন না বলে মুচলেকা দেন।
Published : 14 Feb 2025, 05:21 PM
সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগা নিয়ে তাকে গালিগালাজ করে রড নিয়ে মারতে যাওয়া যুবককে পুলিশে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার পর ওই যুবককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশরাফ সিদ্দিকীর গাড়ির সঙ্গে ওই যুবকের গাড়ির ধাক্কা লাগে।
পুলিশে দেওয়া ইনজামামুল হক সিলেটের টুকেরবাজার এলাকার হায়দারপুর গ্রামের প্রয়াত এ কে এম তারেক কালামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, রাতে অধ্যাপক আশরাফ ক্যাম্পাস থেকে গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছিলেন। এ সময় প্রধান ফটকের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে ওই যুবকের গাড়ির সঙ্গে শিক্ষকের গাড়ির ধাক্কা লাগে।
এতে ওই যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে তার গাড়ি থেকে রড নিয়ে শিক্ষককে মারতে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন বলেন, “প্রধান ফটকের সামনে আশরাফ স্যারের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছে দেখে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করতে যায়। এক পর্যায়ে ওই ছেলে ফোন করে কয়েকজন মহিলাসহ স্থানীয় কিছু লোকজন নিয়ে আসেন।
“তখন বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হয়। পরে স্থানীয়রা ওই ছেলেকে একটা দোকানে আটকে রাখে।”
ঘটনাটি শোনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ওই ছেলেকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান।
প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ওই যুবকের মুচলেকা নিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে জানান শিক্ষক আশরাফ সিদ্দিকী। একই আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও।
প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বলেন, “ছেলেটি তার ভুল বুঝতে পেরে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। পরে স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে আর এ ধরনের ঘটনা ঘটাবেন না বলে মুচলেকা এবং অধ্যাপক আশরাফ সিদ্দিকীর পা ধরে ক্ষমা চান।”
পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সিলেট জালালাবাদ থানার ওসি হারুনুর রশীদ বলেন, “ওই যুবককে আমাদের কাছে দেওয়ার পর তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।”