২০১১ সালের ২৫ এপ্রিল ওই যুবককে হত্যা করা হয় বলে জানান এপিপি।
Published : 01 Jul 2024, 10:07 PM
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক যুবককে হত্যার ১৩ বছর পর স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে ১০ জন খালাস পেয়েছেন। এ ছাড়া মামলা চলাকালীন দুইজন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সোমবার পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোক্তাগীর আলম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) জহুরুল ইসলাম।
যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়ারা হলেন- নাজিরপুর উপজেলার হাতেম আলী শেখের ছেলে দেলোয়ার শেখ (৪৮), হাসেম শেখের ছেলে আবুল শেখ (৫৮), মোজাম মল্লিকের ছেলে বাবুল মল্লিক (৪৯), আফসার আলী শেখের ছেলে সিরাজুল হক শেখ (৭১), সিরাজুল হক শেখের ছেলে রাজু শেখ (৩১), সিরাজুল হক শেখের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৮) ও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার রসুল শেখের ছেলে জাফর শেখ (৫৮)।
এপিপি জহুরুল ইসলাম জানান, ২০১১ সালের ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জসীম খান ও তার ভাই রাজু খানের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। জীবন রক্ষার্থে তারা দৌড়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন। সেখানে দা দিয়ে জসীমকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
দুই ভাইয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলেও হামলাকারীরা জসীমকে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ জসীমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপর পুলিশ জহুর শেখ, দেলোয়ার শেখ, হাতেম আলী শেখ, সিরাজ শেখ ও রব শেখকে আটক করে বলে জানান এপিপি।
এ ঘটনায় জসীমের ভাই রাজু খান বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ৭ অগাস্ট নাজিরপুর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মালেক হাওলাদার ১৯ জনকে আসামি করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস কারাবাসে থাকতে হবে বলে জানান এপিপি।
তিনি বলেন, ১৯ আসামির মধ্যে মামলা চলাকালীন দুইজন মারা যান। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
এ রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজি ইলিয়াস হোসেন।