দগ্ধদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Published : 23 Feb 2025, 10:57 PM
ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে লাগা আগুনে শিশুসহ সাতজন দগ্ধ হয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় সাভারের হেমায়েতপুরের নালিয়াসুর এলাকার নায়েব আলীর একতলা বাড়ির একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় মো. আকাশ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান।
দগ্ধরা হলেন, আমেনা বেগম (৬০) স্বামী নায়েব আলী, শিল্পী আক্তার (৩৫) স্বামী আব্দুল রশিদ, আব্দুল রশিদের ছেলে সজীব (৭), সেলিমের ছেলে জিসান (২০), আমজাদ হোসেনের ছেলে সুজাত মোল্লা (২৬), হযরত আলীর ছেলে সোলাইমান (১৪) ও কাউসারের স্ত্রী হালিমা বেগম (৪২)।
দগ্ধদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আকাশসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, বাড়ির মালিকের স্ত্রী আমেনা বেগম সন্ধ্যার আগে ঘরে তালা দিয়ে বাইরে যান। তখন পাশের ভাড়াটিয়ারা কক্ষের ভেতর থেকে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ টের পেয়ে আমেনা বেগমকে মোবাইল ফোনে জানান। আমেনা ফোনে কক্ষের দরজা ভেঙে ফেলতে বলেন। পরে প্রতিবেশিরা হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা শুরু করেন। এর মধ্যে আমেনা বেগম চলে এসে চাবি দিয়ে তালা খুলতে না খুলতেই প্রতিবেশিদের হাতুড়ির আঘাতে লোহার দরজায় সৃষ্ট স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুন লেগে মুহূর্তের মধ্যে তা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে এক শিশু ও তিন নারীসহ সাতজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী বলেন, “সন্ধ্যায় দগ্ধ সাতজন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
রোববার ভোরে আশুলিয়ার দুর্গাপুর এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় রান্নার সময় গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট আগুনে একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়।