উপজেলা দুটি হল- শ্রীপুর ও কাপাসিয়া।
Published : 29 Apr 2024, 01:31 AM
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাজীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা।
প্রার্থীদের একজন হলেন- শ্রীপুর উপজেলা মো. আব্দুল জলিল। অন্যজন হলেন, কাপাসিয়া উপজেলা মাহাবুব উদ্দিন আহম্মেদ সেলিম।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শোভন রাংসা জানান, শনিবার বিকালে নির্বাচনি এলাকায় ওই প্রার্থীর কয়েকশ কর্মী-সমর্থক শোভাযাত্রা/শোডাউনসহ মিছিল করেন এবং
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভে সেই মিছিল প্রচার করেন। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৫ এর উপবিধি (২) ও বিধি ৫ক এর উপবিধি (১) এবং বিধি ১১ এর উপবিধি (২) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
নোটিস আরও বলা হয়- “বর্ণিত বিধানসমূহ লঙ্ঘনের দায়ে কেন নির্বাচন কমিশনে আপনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না তা এ নোটিস প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুস্পষ্ট লিখিত ব্যাখ্যাসহ যথাযথভাবে নিম্নস্বাক্ষরকারী বরাবর প্রদানের জন্য বলা হল।”
অন্যদিকে, নিজেকে একজন প্রতিমন্ত্রীর প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দেওয়ায় কাপাসিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুব উদ্দিন আহম্মেদ সেলিমকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে।
রোববার বিকালে গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান এসব জানান।
তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষে আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে কারণ দর্শানোর এ নোটিস দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪- এ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে মাহাবুব উদ্দিন আহম্মেদ সেলিম প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন। তিনি প্রচারণার কাজে মোটরসাইকেলসহ শোভাযাত্রা করেন।
তার মোটরসাইকেলসহ শোভাযাত্রার ভিডিওসহ তথ্যাদি পাওয়া গেছে। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন-আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ অনুসারে বিধি ১৩ (১) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, “আপনার জনসভায় বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত থেকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর প্রার্থী হিসেবে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন বিধিমালা) ২০১৬ অনুসারে ২২(১) ধারায় সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”
চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুব উদ্দিন আহম্মেদ সেলিম কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এর আগেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছিল।
তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছেন।